কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বিগত সরকার সংবাদপত্রকে শত্রু হিসেবে দেখেছে’

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়সভায় নোয়াব সদস্যদের একাংশ। ছবি : সংগৃহীত
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়সভায় নোয়াব সদস্যদের একাংশ। ছবি : সংগৃহীত

বিগত সরকার সংবাদপত্রকে শত্রু হিসেবে দেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সদস্য ও প্রথম আলোর প্রকাশক মতিউর রহমান।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নোয়াবের সভাপতি এবং সদস্যদের সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

মতিউর রহমান বলেন, বিশ্বজুড়ে সংবাদপত্র এখন আর সংবাদপত্র নাই। ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই রুম শিল্পে পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারিতে ব্যাপকভাবে সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন আয় কমে গেছে। বিগত ১৫ বছর ও তার আগের সরকার সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। অতীতের কোনো সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিতে পারেনি। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেননি। তবে বিগত সরকার সংবাদপত্রকে শত্রু হিসেবে দেখেছে।

নোয়াবের সদস্য ডেইলি স্টারের প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, গণমাধ্যমের আইনগত কাঠামো ও পরিবেশ সব কিছু মিলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশ আমাদের নেই।

নোয়াবের সদস্য নিউ এজের প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বলেন, পত্রিকার মিডিয়া তালিকাভুক্তি পদ্ধতি রাখার প্রয়োজন আছে কি না সে বিষয়ে ভেবে দেখা দরকার। প্রেস কাউন্সিলকে আধুনিকায়ন করা দরকার এবং এটিকে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করতে হবে।

নোয়াবের সদস্য দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমে সংস্কার কমিশনকে অন্য কোনো স্বার্থান্বেষী গ্রুপ যেন ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে বহু সম্পাদক এখন মামলার শিকার, পলাতক এবং তাদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

নোয়াবের সদস্য দৈনিক সংবাদের প্রকাশক আলতামাস কবির বলেন, রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকলেও স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।

নোয়াবের সদস্য দৈনিক ফিনান্সিয়াল হেরাল্ড এর প্রকাশক মাসরুর রেজা বলেন, সংবাদপত্র প্রকাশ ও অনুমতি প্রদানের ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হয়েছে। যা ভবিষতে বন্ধ করার সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার জন্য তিনি কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

নোয়াবের সভাপতি সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ বলেন, প্রকাশক হিসাবে আমাদেরকেও হমকি ও ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে। করোনার সময় সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেওয়া হলেও সংবাদপত্রকে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। কমিশন সম্পাদকদের স্বাধীনতার জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, কমিশনের কোনো স্বার্থন্বেষী দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অংশীজনের সুনির্দিষ্ট মতামতের ভিত্তিতে কমিশন তার সুপারিশমালা তৈরি করবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার স্বায়ত্বশাসন নীতিমালা প্রণয়নেও কমিশন সব মহলের মতামত গ্রহণ করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ফাহিম আহমেদ, জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বেগম কামরুন্নেসা হাসান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পদত্যাগের পর আসিফ-মাহফুজকে যে পরামর্শ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

ভারত বধের স্বীকৃতি হিসেবে ৭ লাখ টাকা করে পেলেন হামজারা

নবীজিকে (সা.) স্বপ্নে দেখার ৩ আমল

হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সুখবর দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান সেনাপ্রধানের

বিএনপিতে যোগ দেওয়া সেলিমকে নিয়ে এলডিপি নেতাদের অভিযোগ

কারওয়ানবাজারে সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

উদার-সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনীতির পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে : শিবির সভাপতি

আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে কোহলির বড় লাফ

ছাত্রশিবির নেতার বাবাকে গুলি করে হত্যা

১০

দুটি বিষয়ের অনুমোদন পেল নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়

১১

পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

১২

অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

সচিবালয়ে অবরুদ্ধ অর্থ উপদেষ্টা, উত্তেজনা চরমে

১৪

লালমাটিয়ায় এভেরোজ স্কুলে হামলা, শিক্ষক-কর্মচারী আহত

১৫

সুখবর পেলেন প্রাথমিকের ৬৫,৫০২ প্রধান শিক্ষক

১৬

ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

১৭

তারেক রহমানের আসনে যাকে প্রার্থী করল এনসিপি

১৮

বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৯

উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ পদত্যাগ করেছেন

২০
X