৩৮তম বিসিএসে অপেক্ষমাণ নন-ক্যাডার প্রার্থীদের ‘ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা’ পদে সুপারিশ এবং নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান এবং কমিশনের সচিবকে ইমেইলে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ৩৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার প্রার্থী বায়েজীদ হোসাইন, মো. মাহমুদুল হাসানসহ ২০ জনের পক্ষে নোটিশটি পাঠিয়েছেন। নোটিশে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নন ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদ ‘ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা’ পদে সুপারিশ এবং নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০১৭ সালের ২০ জুন প্রকাশিত হয়। ওই বিসিএসে সর্বমোট ৮ হাজার ৩৭৭ পরীক্ষার্থী প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শূন্যপদে ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ৬ হাজার ১৩৭ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদের সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।
প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে বঞ্চিত এসব নন ক্যাডার প্রার্থীদের পিএসসি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে চাহিদার ভিত্তিতে সুপারিশ করে থাকে। ভূমি মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট ৩৮তম বিসিএস নন ক্যাডার থেকে ‘ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (১২তম গ্রেড)’-এর ১ হাজার ৩৭৫টি পদে সুপারিশের জন্য কর্ম কমিশনকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কিছু জটিলতার কারণে ওই নিয়োগ বিলম্বিত হয়।
এতে বলা হয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ ২০২২ সালের ২ নভেম্বর নন ক্যাডার প্রার্থীদের মধ্য থেকে ওই পদগুলোতে নিয়োগের অনুরোধ জানানোর পরেও পিএসসি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় নন ক্যাডার প্রার্থীদের পক্ষে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘নন ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০২৩, সংশোধিত ‘বিধিমালা ২০১৪’ এবং ‘বিধিমালা ২০১০’ অনুযায়ী ৩৮তম বিসিএস নন ক্যাডার সুপারিশের জন্য অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা ওসব পদে নিয়োগ পেতে আইনগতভাবে উপযুক্ত।
এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, বিশজন নন-ক্যাডার প্রার্থী পিএসসির নির্দেশনা মোতাবেক নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অদ্যাবধি তাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি, যা আইন বিরোধী এবং ন্যায়বিচার পরিপন্থি তথা বাংলাদেশ সংবিধানে নন-ক্যাডার প্রার্থীদের প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের দায়িত্ব হলো সরকারের চাহিদা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক এবং যোগ্য প্রার্থীদের বিভিন্ন ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা। যেহেতু সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে শূন্যপদের বিপরীতে চাহিদা পত্র প্রেরণ করে ওই পদগুলো নিয়োগের হয়েছে যেহেতু পিএসসির দায়িত্ব হলো ওই পদে নিয়োগের সুপারিশ করা।
আইনি নোটিশে ৩৮তম বিসিএস নন ক্যাডার অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে ওই ২০ জনকে ভূমি মন্ত্রণালয় অধীন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের সুপারিশ করতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন