কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২০২৮ পর্যন্ত চীনে শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকার পাবে বাংলাদেশ

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যা বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দুই বছর পর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) হাইনানের উপকূলীয় শহরে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানান চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং।

ডিং শুয়েশিয়াং বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আপনার সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছেন। চীন আশা করে, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধি অর্জন করবে।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওয়ান-চায়না নীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগ দেওয়া প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ হিসেবে ঢাকা গর্ব অনুভব করে।’

এ সময় ড. ইউনূস বিভিন্ন উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সহায়তা চেয়েছে এবং চীনা ঋণের সুদের হার ৩ শতাংশ থেকে ১ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ করেন এবং বাংলাদেশ চীনা অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর কমিটমেন্ট ফি মওকুফের আহ্বান জানানা তিনি।

বৈঠকে চীন ও বাংলাদেশ তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তিতে উভয় দেশ বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময় বৃদ্ধিতেও একমত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা চীনের তৈরি পোশাক কারখানা, বৈদ্যুতিক যানবাহন, হালকা যন্ত্রপাতি, উচ্চ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিকস, চিপ উৎপাদন এবং সৌর প্যানেল শিল্প বাংলাদেশে স্থানান্তর সহজ করতে বেইজিংয়ের সহায়তা চান।

উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং জানান, ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যা বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দুই বছর পর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

তিনি আরও জানান, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী। মোংলা বন্দরের আধুনিকায়ন এবং দাশেরকান্দি পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের উন্নয়নেও অর্থায়ন করবে চীন।

তিনি উল্লেখ করে বলেন, গত বছর চীন বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানির জন্য একটি প্রোটোকল স্বাক্ষর করেছে। এ বছরের গ্রীষ্মকাল থেকেই বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে। বেইজিং কাঁঠাল, পেয়ারা এবং অন্যান্য জলজ পণ্য আমদানি করতেও আগ্রহী, যাতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের বিশাল ব্যবধান কমানো যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস

আ.লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ১১

মায়ামির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পথে মেসি

দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, অতঃপর...

নেতার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন স্ত্রী, নিরুপায় স্বামীর হাহাকার

দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন নাহিদ

দিল্লিতে সভা / ‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি মানতে হবে’

পাখি আর মানুষের এক অসম প্রেমের গল্প

ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য বন্ধের আহ্বান ইউরোপিয়ান কমিশনের 

মেঘনা ব্যাংকে চাকরি, আবেদন করুন আজই

১০

মোদি-পুতিন ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক চাচ্ছে ইইউ

১১

বিতর্কিত শিল্পপতি রিপন মুন্সি অবশেষে কারাগারে

১২

জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই : তারেক রহমান

১৩

ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেতা

১৪

জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সাত নেতা বহিষ্কার

১৫

ভারতীয় সিনেমায় হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে উঠে এলো ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক

১৬

নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদাকে সাতক্ষীরায় সংবর্ধনা

১৭

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম, আজ ভরিতে কত?

১৮

পাচারের সময় ৭২ বস্তা সরকারি চালসহ মাঝি আটক

১৯

চোখ দেখেই বোঝা যাবে শরীরে কী রোগ হয়েছে

২০
X