ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মেসি এবং হসপিটালিটি বা ক্লিনিক্যাল ফার্মেসির বাইরেও কমিউনিটি ফার্মেসি নিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
শুক্রবার (০২ মে) স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা এবং নিয়োগদানের ওপর অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতাল সার্ভিস খারাপ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সামর্থ্যের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। বর্তমান প্র্যাকটিসে হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের একটা সামঞ্জস্য আছে। ফার্মাসিস্ট পৃথক বিষয়। নতুন গাইডলাইনে হাসপাতালে ফার্মাসিস্টদের পদ সৃজন করছি আমরা। তবে, ক্যারিয়ার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ফার্মাসিস্টকে মাথায় রাখতে হবে। এটা বললে অনেকে হয়তো বলবেন, দোকানে কীভাবে বসবে? আসলে মানি আর না মানি, আমাদের বহুলোক ওইখান থেকে সার্ভিস দিয়ে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। তারাও সমাজের বড় ও বিশাল অংশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় তিনি ফার্মেসির শিক্ষকদের বলেন, কারিকুলামে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। ছাত্রদের উৎসাহিত করুন যাতে তারা স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হতে আগ্রহী হয়। চিকিৎসকরা যেমন আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নেয়, তাকে জয়েন করে গ্রামে যেতে হবে। এখানেও এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, একটা গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতেই একটা ওষুধের দোকান ফার্মেসি হয়। পাশাপাশি আমরা নতুন কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে হবে। আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্টদের রাখার পদ তৈরি করছি। আপনারাও টিমওয়ার্কের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করুন।
ফার্মেসি কাউন্সিলের সভাপতি ও স্বাস্থ্যসেবা সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, এবার সরকারি হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ৬০০ বেডের হাসপাতালে ৬টি পদ। তবে এগুলো ব্লক পদ। পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়নি। এতে করে মেধাবী ফার্মাসিস্টরা থাকবে না। সামনে এগুলো নিয়ে ভাবতে হবে।
ফার্মেসি কাউন্সিলের হাসপাতাল কমিটির সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ফার্মেসি কাউন্সিলের সহসভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ফার্মেসি কাউন্সিলের সচিব মাহবুবুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন