আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ডাকা সমাবেশ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল পৌনে তিনটায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন সড়কে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আশরাফ মাহাদী।
সমাবেশ শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদের কারণে সমাবেশস্থলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। পরে সমাবেশস্থলের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সিটি করপোরেশনের স্প্রে কেনন দিয়ে পানি ছিটানো হয়। এদিন বিকেলে ৩টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্প্রে ক্যানন পানি ছিটানো শুরু করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশস্থলে ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যাননের গাড়ি উপস্থিত হয়। পরে এর মধ্যে একটি গাড়ি বিকেল তিনটা থেকে পানি ছিটানো শুরু করে, যা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
স্প্রে ক্যানন দিয়ে পানি ছিটানোর পর সমাবেশস্থলে উপস্থিত থাকা আন্দোলনকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা যায়। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পানি ছিটিয়ে স্বস্তি দেওয়ায় আন্দোলনকারীরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইসলামি বিভিন্ন দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসছেন। সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।
এর আগে সকালে যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই জমায়েতের ডাক দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এ সময় তিনি বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চে বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে। আজ তারা বুঝতে পারবে কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে। হাসনাত আবদুল্লাহ এ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন। তার আহ্বানে সাড়া দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের বেশকিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী সেখানে যোগ দেন। রাত ২টায় যোগ দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ছাড়া বিক্ষোভে যোগ দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য, ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরাও।
মন্তব্য করুন