কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাজেট না বাড়লে যমুনা অভিমুখে লং মার্চ : জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমাবেশ। ছবি : কালবেলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমাবেশ। ছবি : কালবেলা

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বাজেট বাড়ানো না হলে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্মতিক্রমে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।

তিনি বলেন, আগামীকাল আমাদের একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যাবে। যদি দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আগামী বুধবার আমরা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব।

জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, আবাসন ভাতা ও যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, আজ জবির সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমাদের দাবি উপেক্ষা করলে সরকারকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আমরা অতীতেও পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সমাবেশে অংশ নিয়ে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, সৃষ্টির শুরু থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যের শিকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ৯০০ কোটি টাকা বাজেট পায়, সেখানে জবি পায় মাত্র ১৫০ কোটি টাকা। ইউজিসি সবসময় বাজেট ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না- এই যুক্তি দেয়। আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। অতীতে বারবার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘ট্যাগ’ দিয়ে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল ও আবাসন সুবিধা পেলেও জবি এখনো বঞ্চিত। দাবি পূরণ না হলে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন বলেন, আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পাশে ছিলাম। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণেই সফল হয়েছে।

সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও অংশ নেন সাংস্কৃতিক সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন এবং ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাজিলের ম্যাচের পর দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ

‘গুলি করতে হবে না, ইট দিয়ে বুকে মারলেই মরে যাবে’, অডিও ভাইরাল

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ

অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ওইপির যাত্রা শুরু

মুশফিককে নিয়ে বিসিবির আয়োজন দেখে বিভ্রান্তিতে মুমিনুল

এবার ১৪ নেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিল বিএনপি

নিরাপত্তার অভাববোধ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রতিবন্ধক : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে ১৫৯৬ পদে বড় নিয়োগ, এসএসসি পাসেই আবেদন

১৪ বছর পর অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন ইংল্যান্ডের

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দিলে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে : নেজামে ইসলাম

১০

রেস্তোরাঁয় এসে খাবার খাচ্ছে মাছ

১১

ইসির কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার করার প্রস্তাব বিএনপির

১২

রূপালী ব্যাংকে জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন

১৩

দিল্লিতে অজিত দোভালের সঙ্গে খলিলুর রহমানের বৈঠক

১৪

দেশের শীর্ষস্থানীয় ১০ শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিইউএফটির সমঝোতা স্বাক্ষর

১৫

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় দ্বীপকে শেষ বিদায় দিলেন বাহুবলবাসী

১৬

এবার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলও খেলবে নেশনস লিগ!

১৭

রাতে আলো জ্বালিয়ে ঘুমানো ভালো নাকি ক্ষতিকর? যা বলছে গবেষণা

১৮

ঢাকা-৫ আসনে আজহারির প্রার্থিতার খবর গুজব

১৯

টিনশেড কলোনিতে ভয়াবহ আগুন, ১০০ ঘর পুড়ে ছাই

২০
X