কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ, বছরে মৃত্যু ৩৫০

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে বজ্রপাতের হার ১০ শতাংশ বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। এ সংক্রান্ত মৃত্যু বছরে প্রায় ৩৫০ জন। এ লক্ষ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু হ্রাসে জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার (২৮ জুন) আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘শুনলে বজ্রধ্বনি, ঘরে যাই তখনই’ স্লোগানে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হলো আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস।

সেমিনারে আবহাওয়াবিষয়ক আন্তঃসরকার সংস্থা রাইমসের (রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম) আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ খান মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী বলেন, বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৩.৩৬ মিলিয়ন বজ্রপাত হয়। এর ফলে প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হলো সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে।

তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বজ্রপাতের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়তে পারে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে (সিপিপি) পূর্ণাঙ্গ একটা অধিদপ্তর করার কাজ চলছে। শুধু ঘূর্ণিঝড়ের জন্য না, সব দুর্যোগের জন্য যে অধিদপ্তর হবে- সেটা হবে সিপিপি। এর কাজ হবে সারাদেশে সচেতনতা থেকে শুরু করে সবকিছুর জন্য স্থানীয় ভলেন্টিয়ারকে যুক্ত করা। শুধু একটা বিষয়ে জন্য না, সমস্ত বিষয়ের জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।

জনসচেতনতা গড়ে তুলতে বজ্রপাতের সময় করণীয় সম্পর্কে জানানো হয়। এসময় বলা হয়, বজ্রপাতের একাধিক শব্দ শোনার পর সর্বশেষ যে শব্দটি শোনা যাবে, সেই মুহূর্ত থেকে অন্তত ৩০ মিনিট ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় নিরাপদ থাকার জন্য।

এছাড়া, আকাশ মেঘলা হলে বা বজ্রপাতের শব্দ শোনা গেলে দ্রুত ঘরের ভিতরে আশ্রয় নিতে হবে, বাইরে অবস্থান করলে মাটিতে না শুয়ে, আশ্রয় না পেলে নিচু হয়ে, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। জলাশয়ে থাকলে নৌকার ছইয়ের নিচে অবস্থান করতে হবে। ছই না থাকলে নৌকার পাটাতনে যতটা সম্ভব কম স্পর্শ রেখে বসতে হবে। বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে ও জলাশয় থেকে দূরে থাকতে হবে। গাছের নিচে বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া বিপজ্জনক। ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে।

বজ্রপাতের সময় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ সম্পর্কে জানানো হয়, উন্মুক্ত স্থানে টানানো তাঁবু, চারপাশ খোলা চালাযুক্ত স্থান, খোলা ও ধাতব কাঠামোর যাত্রী ছাউনি ও ছাতা ব্যবহার করাও ঝুঁকিপূর্ণ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেড় হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফ্রি যাত্রীসেবা

বিদেশী কোম্পানীকে ইজারা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

যুবদল নেতা সুমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়ক সাইফুল হক

পুরোনো রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই : মঞ্জু

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা দেখার জন্য শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন : স্বপন

ভুয়া ফটোকার্ড ও অপপ্রচারের অভিযোগে জিডি করলেন ছাত্রদলের আবিদ-মায়েদ

তারেক রহমান বাংলাদেশের ভোটার কি না এ প্রশ্ন অবান্তর : অ্যাটর্নি জেনারেল

১০

দেশের ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়াকে খুবই প্রয়োজন : লুৎফুজ্জামান বাবর

১১

খালেদা জিয়া কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন : মান্নান

১২

ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কিছু দল : আমিনুল হক

১৩

ছাত্রশক্তির নেত্রীকে বিয়ে করলেন হান্নান মাসউদ

১৪

বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই : শিশির মনির

১৫

আলোচনা ছাড়াই করা গোপন চুক্তিতে জনগণের দায় নেই : জোনায়েদ সাকি

১৬

ধানের শীষ শুধু নির্বাচনী নয়, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষারও প্রতীক : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১৭

খাঁচা থেকে সিংহ পালানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

১৮

ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী

১৯

ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আ.লীগ গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু : তারেক রহমান

২০
X