বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাতের ফলে তীব্র গরম কমে তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৩৫ ডিগ্রির মতো। এ অবস্থায় সকালের মধ্যে দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে।
পাশাপাশি আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ কোথাও কোথাও ভারী থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটা জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেয়াজ কবির জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের মধ্য প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এ ছাড়া এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। এতে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। আর এই সময়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন