রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আড়াই ঘণ্টার ব্যবধানে দগ্ধ আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ওই শিশুর নাম মাহিয়া তাসনিম ওরফে মায়া (১৫)।
সে পরিবারের সঙ্গে উত্তরা ১৮ নম্বরে থাকত। তার বাবা মৃত আলী বিশ্বাস। তাদের গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। মাহিয়া মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এর আগে আজ দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে মারা যায় শিশু মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৪)। এ নিয়ে এ ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
মাহিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, মাহিয়ার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৪২ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। পরে এ ঘটনায় আহত আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সে হিসাবে সব মিলিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪ জনে।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পাওয়া হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, এ ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯-এ। পরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১-এ।
এ ছাড়া মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। পরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪-এ।
মন্তব্য করুন