কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারাগার পরিদর্শনে ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ দেবেন না ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন করেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তবে পরিদর্শনের ছবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাইরে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে এক পোস্টে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তিনি জানান, দেশের ৭০ হাজার বন্দিকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার আওতায় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি মানবিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সেখানে পরিদর্শনে যান।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য বিকৃতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান’ শিরোনামে তিনি এক পোস্টে এসব কথা বলেন।

পোস্টে ধর্ম উপদেষ্টা লেখেন, সম্প্রতি আমি চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন করি, যেখানে আমার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি প্রিজন ও ডেপুটি জেলার। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, ধর্মীয় বই পুস্তক এবং নামাযের স্থান নির্ধারণের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষাদান করা হতো, যা বন্দি সমাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।

আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে দেশের ৭০ হাজার বন্দিকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার আওতায় আনার, যা একটি বৃহৎ মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফরের সময় আমি রান্নাঘর, দুপুরের খাবার, হাসপাতাল, পুরুষ, মহিলা, শিশু ওয়ার্ডসহ সকল স্থানে পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া ভিআইপি বন্দীদের ওয়ার্ড এবং ফাঁসির মঞ্চও পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে আমার সঙ্গে কোনো ক্যামেরা ছিল না, তবে কারা কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা কিছু ছবি তুলেছিলেন, যা পরবর্তীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাইরে পাচার করা হয়েছে। এটি ছিল একটি অবৈধ প্রচারণা, যা ভুল তথ্য পরিবেশন করেছে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা প্রশংসনীয়।

এই সফরটি ছিল সম্পূর্ণ সরকারি এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে আয়োজিত। পরিদর্শন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আইজি প্রিজন, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং অন্য কর্মকর্তাদের অফিসিয়ালি জানানো হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের গোপনীয়তা বা লুকোচুরি ছিল না। সফরের সময় আমি ভিআইপি ওয়ার্ডে মাত্র দুই বা তিন মিনিট ছিলাম, এবং সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা আমার সঙ্গী ছিলেন। তবুও এই সংক্ষিপ্ত সময়ে উপস্থিতি থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিকৃত তথ্য রটানো হচ্ছে, যা মূলত একটি কায়েমি সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের অংশ।

এই প্রচারণা মূলত পরাজিত শক্তির অব্যাহত ষড়যন্ত্রের ফলস্বরূপ। যারা রাজনৈতিকভাবে পরাজিত, তাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ আসছে, যা সরকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সমৃদ্ধি অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য নিয়ে করা হচ্ছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধতাকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু তারা এতে সফল হবে না। আমাদের প্রচেষ্টা সবসময় দেশের কল্যাণ এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা, এবং সত্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

অতএব, আমি বিনম্রভাবে বলতে চাই, এসব অপপ্রচার অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে থাকা পরাজিত শক্তির উদ্দেশ্য হল সরকার এবং জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা, কিন্তু আমরা জানি, সত্যের বিজয় অনিবার্য। আমরা আমাদের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাব, এবং কোনো ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ দেব না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কী কারণে ‘বেলুন’ দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করলেন স্বামী

ইউটিউব নিয়ে এলো চমকপ্রদ নতুন এআই ফিচার

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : নিহত রজনীর পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা সোহেল

নটর ডেম কলেজে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ

টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস, সন্ধ্যার মধ্যে ১০ জেলায় হতে পারে ঝড় 

পুষ্টিবিদের মতে কখন, কীভাবে দুধ খাওয়া সবচেয়ে উপকারী

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার করতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় : মির্জা ফখরুল

স্ত্রীর সুস্থতা কামনায় দোয়া চেয়েছেন কর্নেল অলি

আমরা রাতের আঁধারে কিছু করতে চাই না : সিইসি

৪১ বছর পর কারামুক্ত / ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী আব্দুল্লাহ এখন বামপন্থার প্রতীক

১০

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি, মাসুমা নামে আরও একজনের মৃত্যু

১১

‘চা পাতার ভর্তা আর রুটি খেয়েই চলে দিন’

১২

অভিনয় ছেড়ে ক্যাব চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ফাহাদ ফাসিল

১৩

পদ্মায় তীব্র স্রোত, দৌলতদিয়ায় গাড়ির লম্বা সারি

১৪

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতের সর্বশেষ অবস্থা

১৫

৬০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে বাস পড়ল গভীর খাদে, নিহত ১৫

১৬

৫ সহজ ও স্টাইলিশ উপায়ে গরমে ঘরকে রাখুন ঠান্ডা

১৭

রসায়নে স্নাতক হলেই বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

১৮

টনসিল অস্ত্রোপচারের পর শিশুর মৃত্যু, পালিয়েছে চিকিৎসক-নার্স

১৯

ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে : খেলাফত মজলিস

২০
X