কমিশন একটি ঐতিহাসিক দলিল তৈরি করতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
সোমবার (২৮ জুলাই) দ্বিতীয় দফার ২০তম দিনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলায় একটি ঐতিহাসিক দলিল করতে চায় কমিশন। মৌলিক সংস্কারের ২০টি বিষয়ের মধ্যে ১২টি বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
তিনি বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক প্রস্তাবনাগুলো বারবার পরিবর্তন করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলো যাতে একমত হতে পারে এজন্য এমনটি করা হয়। আজকের বৈঠকে নারী আসনে নির্বাচন পদ্ধতি ও অমীমাংসিত বিষয়ে কমিশন আলোচন করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, জোর করে কিছু চাপিয়ে দিতে চায় না কমিশন। সহযোগিতা অব্যাহত রাখলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, অধিকাংশ বিষয়েই কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে চলে এসেছে। চলতি মাসের মধ্যেই সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে জাতীয় সনদ হবে। ১০ দিনের মধ্যে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।
এরও আগে সংস্কারের ব্যাপারে মানুষ প্রত্যাশা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় অবস্থানের কারণে প্রতিদিনের আলোচনায় অর্জন না হলেও এক জায়গায় পৌঁছাতে আশাবাদী ঐকমত্য কমিশন।
দেশের স্বার্থে সংস্কার আলোচনার অগ্রগতি প্রয়োজন উল্লেখ করে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, আমরা কেউ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না, তাই দেশের স্বার্থে আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করুন। যে অঙ্গীকার নিয়ে আমরা গত জুলাইয়ে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তার কতটা অর্জিত হয়েছে? আমরা কি শুধু নিজের ও দলের স্বার্থ চাইব, নাকি দেশের স্বার্থও দেখব? আমরা আশা করি বেশিরভাগ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে নিয়ে আসতে পারব।
মন্তব্য করুন