মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন : সালাহউদ্দিন আহমদ

সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি : সংগৃহীত
সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে ‘ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস সংক্রান্ত চুক্তিকে কেন্দ্র করে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক গোলটেবিল সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন নিয়ে বিএনপিও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, গাজা, ফিলিস্তিন বা আরাকানের মতো বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানদের ওপর যে নির্মম নির্যাতন চলছে, সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যকর কোনো ভূমিকা আমরা দেখি না।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, দেশের জনগণের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা মতামত ছাড়াই সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যা তিনি ন্যায়সঙ্গত মনে করেন না। তার মতে, একটি অন্তর্বর্তী সরকার এমন নীতিগত ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাংবিধানিক বা নৈতিক অধিকার রাখে না। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক আলোচনার প্রয়োজন ছিল।

তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো সংবেদনশীল বিষয়েও প্রভাব ফেলতে পারে। মানবাধিকারের অজুহাতে যদি দেশের অখণ্ডতা প্রশ্নের মুখে পড়ে, সেটিও আমাদের গভীরভাবে বিবেচনায় নেওয়া দরকার।

সভায় সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক, মহিউদ্দিন রাব্বানী, যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক, সাখাওয়াত হোসেন রাজি, সহকারী মহাসচিব মুসা বিন ইজহারসহ হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময়ে দেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ নানাভাবে ৭ হাজার ৮৬১ জন নির্যাতিত হয়েছেন। এটা প্রকৃত সংখ্যা নয়। শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সেখানে কতজন নিহত হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় ব্যাপক হারে হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এসব কারণে জাতিসংঘ মনে করেছে, এখানে একটি অফিস স্থাপন করা উচিত। তবে বৃহত্তর পরিসরে এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি হলে এ ধরনের বিতর্ক হতো না। তবে তিন বছরের এই চুক্তি এক/দুই বছর পর রিভিউয়ের সুযোগ আছে। সরকার যেন যাচাই-বাছাই করে পুনর্বিবেচনা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভাত খাওয়া নিয়ে দুই ভাইয়ের তর্ক, অতঃপর...

বিএসএফের বাধায় আটকে আছে বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে থাকা ৭ অঙ্গীকারনামা

আমরা আর গুম-খুনের ব্যবস্থায় ফেরত যাব না : তাসনিম জারা

আ.লীগকে ফেরানোর চক্রান্ত হলে দেশবাসী প্রতিহত করবে : জাগপা

মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে

জাল সনদে সাবেক এমপির স্ত্রীকে নিয়োগ, অধ্যক্ষ হাজতে

যুক্তরাজ্যে মাল্টিপল ভিসার আবেদন খালেদা জিয়ার

স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শটগান ও গুলি উদ্ধার

‘ভুল’ ঢাকতে ভুলের বৃত্তে বিওএ!

১০

বিএমডিএ কার্যালয়ের সামনে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১১

সিঙ্গাপুরে সাঁতারু সামিউলের রেকর্ড

১২

প্রধান উপদেষ্টাকে সৌদি যাওয়ার আমন্ত্রণ

১৩

ব্যক্তি স্বার্থে অনৈতিকভাবে কাউকে কিছু করতে দেওয়া হবে না : চসিক মেয়র

১৪

পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন নয় : চরমোনাই পীর

১৫

অর্থ পাচারের চেষ্টা : চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে যাত্রী গ্রেপ্তার

১৬

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা সক্রিয় করবেন যেভাবে

১৭

সরকারের অসতর্কতায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে : মঞ্জু 

১৮

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর সঙ্গে ঘরে ঘরে ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া

১৯

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ‘বুশরা গ্রুপের’ তিন কর্মকর্তা

২০
X