গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিরোধ আরও জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেন। সোমবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও অবরোধ বন্ধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে চতুর্থ পর্যায়ের নৌ অবরোধ শুরু হবে এবং সামরিক হামলা আরও তীব্র করা হবে।
আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের বরাতে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইয়েমেনি বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- গাজার নিরীহ জনগণের ওপর চলমান বিমান হামলা, খাদ্য ও ওষুধের প্রবেশে বাধা এবং আরব দেশগুলোর নীরবতা ইসরায়েলকে উসকে দিচ্ছে। এ অবস্থায় ইয়েমেন একমাত্র নৈতিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই প্রতিরোধ জারি রেখেছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলের সমুদ্রবন্দরগুলোর সঙ্গে যুক্ত যে কোনো দেশ বা কোম্পানির জাহাজ এখন থেকে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আওতায় পড়বে। তারা যে কোনো দেশের মালিকানাধীন হোক না কেন, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী সেসব জাহাজকে বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করবে।’
তিনি আরও বলেন, এই বিবৃতি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বজুড়ে সব শিপিং কোম্পানিকে সতর্ক করছি- ইসরায়েলি বন্দরগুলোর সঙ্গে যে কোনো রকম সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, তাদের জাহাজ যে কোনো মুহূর্তে হামলার শিকার হতে পারে।
জেনারেল সারি আরও একবার স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েল যদি চায় উত্তেজনা প্রশমিত হোক, তবে তাদের অবিলম্বে গাজা উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং বর্বর আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, আমাদের সামরিক ও সমুদ্র অবরোধ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি নৈতিক ও মানবিক অবস্থান নিয়েছে। আমরা কেবল তখনই সামরিক অভিযান বন্ধ করব, যখন গাজার অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের এই চতুর্থ দফার নৌ অবরোধ বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচল ও বাণিজ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন