মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যারা অনিয়ম ও দুর্নীতি করছে তাদের আইনের আত্ততায় আনার দাবি জানিয়েছে গালফ হেলথ কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারের মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় গালফ হেলথ কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারের মালিকদের পক্ষে মেজবা উদ্দিন সাইদ সহযোগীদের নিয়ে প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করেন।
বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নের একটি বড় খাত হলো বাংলাদেশের জনশক্তি যারা প্রবাস থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে আমাদের অর্থনীতির চাকাকে মজবুত ও সচল রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। উপসাগরীয় দেশসমূহ বিশেষ করে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহারাইনে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য গালফ হেলথ কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুসারে ২০২০ সালে জিএইচসি একটি ওয়েব বেজড সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। জি এস সি পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা ছাড়াও ঢাকার বাহিরে বিভিন্ন শহরে যেমন সিলেট চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা রাজশাহী, বরিশাল, শেরপুর ও চাঁদপুরে নতুন নতুন মেডিকেল সেন্টার অনুমোদন দিয়েছে।
গত ১১ মাসেই ১৫০টির বেশি মেডিকেল সেন্টারের অনুমোদন হয়েছে। যার সংখ্যা ২৬ টি থেকে ২৬০ এ দাঁড়িয়েছে। প্রবাসের জনশক্তির রপ্তানির সংখ্যা না বাড়লেও মেডিকেলের সেন্ট সেন্টারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদের মনিটরিং করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ নেই। এই অবস্থাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী লোভী, অসৎ ও প্রতারণা করে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু অবৈধ পন্থা খুঁজে বের করে। তারা জি এইচ সি সফটওয়্যারকে ম্যানুপুলেট করে নিজের পছন্দের সেন্টারে স্লিপ তুলে অন্যদের বঞ্চিত করছে। যা আমাদের ব্যথিত ও লজ্জিত করেছে।
গামকার সাবেক সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এইসব অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মেডিকেল সেন্টার সমূহের মালিকদের সমন্বয়ে যৌথভাবে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রতারণার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা প্রয়োজন। এর জন্য সরকার যথাযত আইনি বিধান প্রয়োগ করে অপরাধীদের আইনের আশ্রয় আনা প্রয়োজন। তারা বলেন এমন অনিয়ম চলতে থাকলে, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে শ্রমবাজার। ইতোমধ্যে ভূয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট ও সনদের কারণে আরব-আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
তারা আরও দাবি করেন ৯০ শতাংশ মেডিকেল সেন্টারই সঠিকভাবে কাজ করছে। অল্প কিছু প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কর্মীরা। তাদের দিতে হচ্ছে নির্ধারিত খরচের চারগুণ পর্যন্ত বেশি টাকা। এতে নষ্ট হচ্ছে দেশের ইমেজও। এমন অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়কে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান তারা।
মন্তব্য করুন