সরকার কোনো ধরনের বিদেশি চাপে নেই। বরং ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার কারণে বিশ্বের সবার বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি রয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সুসম্পর্ক গড়তে ঢাকা সফর করে গেলেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: যুবসমাজ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, মাখোঁর ঢাকা সফর, নির্বাচন ইস্যুতে বিদেশি চাপসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ড. মোমেন।
সাম্প্রতিক হাই-লেভেল কূটনৈতিক যোগাযোগের কারণে সরকারের উপর বিদেশি চাপ কমেছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনও চাপের মুখে ছিলাম না। আমরা চাপের মধ্যে নাই। আমরা আগামীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনারা (গণমাধ্যম) বরং চাপের মধ্যে আছেন। আপনারা আমাদের চাপের মধ্যে ফেলতে চান।’
এক প্রশ্নের জবাবে দিল্লিতে সদ্যসমাপ্ত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আলাপে নির্বাচন প্রসঙ্গ ছিল না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা-বাইডেন আলাপচারিতার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে খুব ভালো কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি বাবা-মা, ভাই, পরিবারের লোকদের হারিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। আমার ১৭০ মিলিয়নের বিরাট পরিবার। তাদের মুখে দু’বেলা ভাত, জীবন মানের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করছি। এদের আমি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে চাই। জবাবে বাইডেন বলেছেন, আমি জানি। আপনার অর্জন খুবই চমকপ্রদ।
নির্বাচন নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি বলে জানান ড. মোমেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট সফর প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, ফ্রান্স আগামীতে আমাদের সাথে আরও ভাল সম্পর্ক করতে চায়। দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিষয়ে ওনাদের সাথে কথা হয়েছে। আগেরটা যেহেতু ফ্রান্স করেছে, তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট। তাই এবারও তাদের দিতে চাই। রাশিয়ার সুদের হার বেশি বলেও জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জি ২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ সার্থক হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে আমাদের সাফল্য, উন্নয়ন প্রচেষ্টা তুলে ধরতে পেরেছে সরকার।
এর আগে সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। তবে মার্কিন নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর স্কলারশিপ থাকা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থীর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হচ্ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা আমাদের বিষয় না। ভিসা না দিলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে জিজ্ঞেস করেন।
সেমিনারে সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন