দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রবীণ জনগোষ্ঠী আজ এমন এক বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে উন্নয়নে তাদের ভূমিকাকে এমনকি তাদের অধিকারকেও যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের এবারের প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়টি সময়োপযোগী। এ বছরের প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো: ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে প্রবীণরা মূল চালিকাশক্তি: আমাদের আকাঙ্ক্ষা, আমাদের সমৃদ্ধি, আমাদের অধিকার’। এতে করে বৈশ্বিকভাবে প্রবীণদের ভূমিকাকে স্বীকৃতিদান ও সহযোগিতা করা সম্ভব হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান এবং নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আখতার।
বক্তাগণ জাতীয় পর্যায়ে প্রবীণ সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রবীণদের নেতৃত্ব, অংশগ্রহণ ও অবদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে রিকের নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসিব খান বলেন, প্রবীণরা সমাজের এক অভিজ্ঞ জনগোষ্ঠী, যারা ইতিমধ্যেই সমাজে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এখন সমাজ ও রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব হলো- দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের অভিজ্ঞতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো।
রিক মনে করে, প্রবীণ নারী-পুরুষসহ সকল বয়সীদের অংশগ্রহণে কেবলমাত্র একটি সম্মিলিত টেকসই সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব, যার ফলশ্রুতিতে সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া প্রবীণ জনগোষ্ঠী আর্থিক ও সামাজিকভাবে স্বচ্ছল থাকবে, সময়মত সুচিকিৎসা পাবে এবং সর্বোপরি তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সফল বাস্তবায়ন ঘটবে।
উল্লেখ্য, রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) বাংলাদেশে বিগত ৩৫ বছর ধরে প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন