সরকার ঘোষিত বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিকে ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতার দাবিতে তারা রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট ব্যানারে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দাবি আদায়ে তারা আগামী মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) থেকে দেশব্যাপী কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের মূল তিনটি দাবি হলো:
১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা প্রদান,
২. চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা,
৩. উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।
জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে সাংবাদিকদের জানান, আমরা সরকারের কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। যদি আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এই দাবিগুলোর প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তাহলে আমরা দেশজুড়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাবো।
তিনি আরও বলেন, সরকার যে ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া ভাতা বাড়িয়েছে, তা আমাদের জন্য এক ধরনের উপহাস। বর্তমান বাজারে এই অর্থে এক দিনের বাজারও হয় না। তাই আমরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা দাবি করছি।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৩ আগস্ট প্রেস ক্লাবের সামনে একই দাবিতে কর্মসূচি পালন করে জোটটি। পরে ধারাবাহিকভাবে ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি, বিভাগীয় শহরগুলোতে শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ, ১২ অক্টোবর থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যা আজ থেকে শুরু হয়েছে।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
মন্তব্য করুন