২০২৬ সালের হজে যেতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হয়েছে ১২ অক্টোবর। তবে নির্ধারিত সময় শেষ হলেও সৌদি সরকারের অনুমোদিত ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পূর্ণ হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ২০৪ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। তবে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ৮৫৯ জন। অর্থাৎ এখনো ৭৫ হাজারের বেশি আসন খালি রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম সাড়া পাওয়া মৌসুমগুলোর একটি।
নিবন্ধনকারীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭০৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৭ হাজার ৫০০ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার জনের কোটা নির্ধারণ করা হলেও, এখন পর্যন্ত তারও এক-চতুর্থাংশ পূরণ হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান অর্থনৈতিক চাপ, খরচের ঊর্ধ্বগতি এবং বিমানের টিকিট সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে অনেকেই নিবন্ধনে আগ্রহ হারিয়েছেন।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, খরচ বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে অনেকে ভাবছেন, কয়েক বছর পর পরিস্থিতি অনুকূলে এলে হজ করবেন।
এদিকে কোটা পূরণে আগ্রহ বাড়াতে ধর্ম মন্ত্রণালয় নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সৌদি সরকারের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার ধর্ম উপদেষ্টা সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। তারা আমাদের কাছ থেকে নিবন্ধিত হাজির সংখ্যা ও ভাউচারের তথ্য চাইতে পারেন। যদি তারা সম্মতি দেন, তাহলে নিবন্ধনের সময় কিছুটা বাড়তে পারে।
তিনি আরও জানান, হজ এজেন্সিগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়ে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে অপেক্ষমাণ হজযাত্রীদের সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে— যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেননি। এই তথ্য সৌদি সরকারের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। যতজন নিবন্ধন করবেন, ততজনই সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে পারবেন। সবকিছু নির্ভর করবে নিবন্ধনের সংখ্যার ওপর। তিনি আরও জানান, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন