জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নেওয়া জুলাই যোদ্ধাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থানের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এর আগে সকাল ১০টার পরে জুলাই যোদ্ধারা কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে। তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য দুপুর একটা পর্যন্ত পুলিশ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করতে চায়৷ তবে তারা এতে রাজি হয় না।
এরপর মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। বের হওয়ার পরে জুলাই যোদ্ধারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। খেজুরবাগান এলাকায় রাখা পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এরপর এমপি হোস্টেলের সামনে কয়েকটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে জুলাই যোদ্ধাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভকারী জুলাই যোদ্ধাদের ছত্রভঙ্গ করে ফার্মগেট ও ধানমন্ডি আড়ংয়ের দিকে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় উভয়পক্ষকে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে।
দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি জুলাই যোদ্ধাদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সনদের অঙ্গীকারনামা সংস্কারের ঘোষণা দেন।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এই বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান কালবেলাকে বলেন, পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সংসদ ভবনের সামনের অংশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আশপাশে তারা অবস্থান করছে। কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছে। আমি একটা ক্ষুদ্র অংশ দেখছি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব সিনিয়র কর্মকর্তা মাঠে আছেন। তাই সার্বিকভাবে এখনো আমার একার পক্ষে কিছু বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন