

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত কবি সুফিয়া কামালের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আনোয়ারা বেগম–মুনিরা খান মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নেত্রীবৃন্দ ও অতিথিরা সুফিয়া কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সংগীত পরিবেশন করেন ঢাকা মহানগর কমিটির মাধবী বণিক, আরিফা আক্তার কাঁকন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক শাহজাদী শামীমা আফজালী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সুহৃদ ও বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এবং সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘আমরা তার জন্মদিন বা মৃত্যুদিবস আলাদা করে পালন করি না। আমরা তার জীবনকেই উদযাপন করি।’
তিনি জানান, ‘সুফিয়া কামালের সংগ্রামী জীবনের পথচলা এক রক্ষণশীল পরিবার থেকে বেরিয়ে শিক্ষা, সাহিত্য, মানবিকতা ও নেতৃত্বের উচ্চতায় পৌঁছানোর এক বিস্ময়কর অধ্যায়। সুফিয়া কামালের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষণ ক্ষমতা ছিল অত্যন্ত গভীর ও সঠিক, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কাজে অসাধারণ ভূমিকা রাখত।’
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘তিনি সাধারণ মানুষ হয়েও অসাধারণ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নতুন করে ভাবা ও কাজ করার ক্ষমতা তাকে আলাদা করে তুলেছিল। নারীমুক্তি ও মানবমুক্তির প্রশ্নে তিনি সবসময় সমন্বিত সমাজ গড়ার পক্ষে ছিলেন এবং প্রায় ২০টি সংগঠন প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘সুফিয়া কামাল শারীরিকভাবে না থাকলেও চিন্তা ও মননের ভেতর তিনি আছেন।’
তিনি উল্লেখ করেন, বিবেকের কথা শুনে চলা ও নিজের বিবেককে সঠিক রাখা ছিল সুফিয়া কামালের আজীবন সংগ্রাম। মানবিক সমাজ গঠনের জন্য দায়িত্ববোধ, আত্মপরিচয় এবং বিবেকশক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেত্রীবৃন্দ, জাতীয় পরিষদের সদস্য, সম্পাদকমণ্ডলী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম।
মন্তব্য করুন