‘হ্যালো এটা কি পুলিশের কন্ট্রোল? আমি একটা দোকানে ঢুকছিলাম চুরি করতে, এখন লোকজন টের পাইয়া গেছে, আমারে তো পিটাইয়া মাইরা ফালাইবো, আমারে গ্রেপ্তার করেন। তাড়াতাড়ি খানকা রোডে পুলিশ পাঠান, আমারে বাঁচান।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোর সোয়া চারটায় ঢাকার কদমতলী থানাধীন খানকা রোডের পাসপোর্ট অফিসের পাশে একটি দোকান থেকে হৃদয় (২৫) নামে একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে এমন তথ্য জানান। ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কদমতলী থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।
সংবাদ পেয়ে কদমতলী থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে জনগণ কলার হৃদয়কে ধরে কিছুটা পিটুনি দেওয়া শুরু করেছিল। কলারকে পুলিশ সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে এবং গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। গ্রেপ্তার হৃদয় কদমতলী থানার মেরাজনগর ব্লক-বি’ এ বসবাস করে বলে জানিয়েছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বিচারের জন্য কলারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ৯৯৯ এ কল টেকারের দায়িত্ব পালন করেন কনস্টেবল মিঠুন সরেন। ৯৯৯ পুলিশ ডিসপাচারের দায়িত্বে ছিলেন এএসআই মো. রবিয়ার এবং কদমতলী থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন এসআই আল আমীন।