শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আজ ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে দুদকে হাজির হন তিনি। কর্মীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যাপক ইউনূসের ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজনকে দুদক তলব করেছে। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি, তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ত্রিপুরাভিত্তিক ভারতীয় নিউজ ওয়েবসাইট ত্রিপুরাইনফো ডট কমে এক প্রতিবেদনে ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক নাভা ঠাকুরিয়া এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বলাবাহুল্য যে মৃদুভাষী এই ভদ্রলোকের (ইউনূসের) ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সর্বশেষ প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে এটিও একটি। সম্প্রতি নোবেলজয়ী, সুশীল সমাজের নেতারাসহ ১৭৫ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সব আইনি কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নাভা ঠাকুরিয়া বলেন, এর আগে ৪০ জন বিশ্ব ব্যক্তিত্ব পৃথক চিঠিতে তাকে নিয়ে সরকারের খারাপ আচরণের বিষয়ে শেখ হাসিনাকে লিখেছিলেন। এমনকি ৩৪ জন বিশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিকও প্রফেসর ইউনূসের পক্ষে কথা বলেছিলেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তিনি (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদের জন্য ভোটারদের ম্যান্ডেট চাইবেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ও ড. ইউনূসকে সমর্থন করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এরপর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও একটি বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে তারা জোর দিয়ে বলেছিল, শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য ‘শ্রম আইনকে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
নাভা ঠাকুরিয়া আরও বলেন, বলা বাহুল্য যে ড. ইউনূস ২০০৭ সালে একটি রাজনৈতিক দল (নাগরিক শক্তি) গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, দ্রুতই তিনি সেটি থেকে সরে যান। ঠাকুরিয়া দাবি করেন, শেখ হাসিনা এবং তার সমর্থকরা এখনও প্রফেসর ইউনূসকে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করেন। আর এই কারণেই ড. ইউনূসকে প্রতিনিয়ত তারা অপমান করে চলেছেন।
নাভা ঠাকুরিয়া বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। বিরোধী জোট এখনও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছে। তারা আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।
মন্তব্য করুন