সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর ব্যবস্থাটি ইতিবাচক হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমএফসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে এমএফসি।
এতে বলা হয়, গত ১৫ জুন সাংবাদিক নাদিমের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনায় আমরা এমএফসির নিম্ন স্বাক্ষরকারী সদস্যরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।
তারা বলছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে ব্যবস্থা নিয়েছে জেনে আমরা এ পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসার মাধ্যমে ঘটনার বিবরণ প্রকাশ করে এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহকে উৎসাহিত করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা। সমাজের দায়িত্বশীল সবাইকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, প্রতিশোধ বা ক্ষতির ভয় ছাড়াই সাংবাদিকদের কাজ করার অধিকার এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার জন্য সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এমএফসি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী মিশনগুলোর মধ্যে রয়েছে-কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
গত ১৪ জুন রাতে অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশীগঞ্জ পাটহাটি পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিমকে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাদিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন