কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

খাজা টাওয়ারে দাহ্য পদার্থ বেশি ছিল : ফায়ার ডিজি

মহাখালীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রিফিং করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত
মহাখালীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রিফিং করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেছেন, খাজা টাওয়ার ভবনটিতে সেফটি প্ল্যান ছিল না। ভবনটিতে দাহ্য পদার্থ বেশি ছিল সে কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, এখনো আগুনের আছে, যার জন্য আগুন জ্বলছে। কারণ এই ভবনে ব্যাটারি আছে, স্টোরস, ক্যাবেল, সুইচেস, আইসোলেসন ফোম এবং ১২ ও ১৩ তলাতে ইন্টেরিয়র দিয়ে খুব সুসজ্জিত করা। যা আগুনের বিশেষ উপাদান।

এ সময় তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আরও সময় লাগবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আগুন আমাদের কন্ট্রোলে আছে। তবে নির্বাপণ করতে সময় লাগবে। খাজা টাওয়ার ভবনটিতে সেফটি প্ল্যান ছিল না। ভবনটিতে দাহ্য পদার্থ বেশি ছিল, সে কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, আগুন লাগার দুটি মত আছে। কেউ বলছেন চারতলা থেকে ৯, ১০ ও ১১ তলায় দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। আবার কেউ বলছে ১১ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে যখন আমরা তদন্ত শেষ করব তখন বলা যাবে কোথায় থেকে এবং কী কারণে আগুনের সূত্রপাত। আপাতত মনে হচ্ছে কোনো বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হয়ত আগুন লেগেছে।

মাইন উদ্দিন বলেন, এ এলাকায় একটি ফায়ার সার্ভিসের টহল গাড়ি ছিল। প্রথম গাড়ি হিসেবে টহল গাড়িটি অগ্নিনির্বাপণ কাজ শুরু করে। এর পরবর্তীতে একে একে ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক তিনটি সর্বোচ্চ টিটিএল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় দেড় শতাধিক ফায়ার ফাইটার এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাজ করে। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারসহ সবাই আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, বিকেল ৫টা ৭ মিনিট থেকে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয়। তখন আগুন বাইরে তেমন একটা ছিল না। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন আমাদের কন্ট্রোলে চলে আসে। কিন্তু অনেক সময় লাগে একজন মানুষকে উদ্ধার করার জন্য। কারণ ১৩তলায় যে অফিস ছিল সেটি কপমান্টমেন্ট ছিল। যার কারণে আগুন নেভানোর পরেও কিছুক্ষণ পর আবার আগুন দাও দাও করে জ্বলে ওঠে। এ পর্যন্ত আমরা নয়জনকে উদ্ধার করেছি। দু’জন লাফিয়ে পড়েছিল, তাদেরকে হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়েছে। শেষ মুহুর্তে আমরা একজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছি।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মহাখালীর আমতলী মোড়ের কাছের ১৪তলা বিশিষ্ট খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে পর্যায়ক্রমে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট। এছাড়া ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ ফয়েজ গ্রেপ্তার

দিনভর উত্তাল চট্টগ্রাম

যুবককে কুপিয়ে হত্যা

বিয়েতে মাইক বাজানোর শাস্তি বেত্রাঘাত!

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইল বস্তিবাসীর পাশে যুবদল নেতা

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা স্তূপে ধস

চবিতে ভুয়া শিক্ষার্থী আটক

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন

জনগণের ভোটের আঘাতে সব ষড়যন্ত্র ধসে পড়বে : গয়েশ্বর

স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নির্ভরতায় সশস্ত্র বাহিনী

১০

সিরামিক এক্সপো ২০২৫ প্রারম্ভে - ডিবিএল সিরামিকস সৌজন্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

১১

জেলে বসেই অনার্সে ফার্স্ট, ১২ বছর পর মাস্টার্সেও প্রথম স্থান—কে এই শিবির নেতা?

১২

ভাতিজার লাথিতে প্রাণ গেল চাচার

১৩

বহিষ্কৃত ৭৪ নেতাকে ‍নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত

১৪

কর্মবিরতির ঘোষণা শিক্ষকদের / প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা

১৫

মা ও দুই শিশুর মরদেহ পৃথক স্থানে দাফন, মামলা হয়নি এখনো

১৬

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে : সেলিমা রহমান

১৭

বিশ্বকাপ ড্র ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন আনল ফিফা

১৮

গোলাম রাব্বানীর ছাত্রত্ব ও এক পদ বাতিল করল ঢাবি

১৯

সাভারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

২০
X