প্রার্থিতা বাতিল ও বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল শুনানির প্রথম দিনে ৯৪টি আবেদনের শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৫৬ জনের প্রার্থিতা ফেরত, ৩২ জনের নামঞ্জুর এবং ৬টি আবেদন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। ইসি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অন্য কমিশনাররা আপিল শুনানি করেন।
প্রার্থিতা বাতিল ও বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মোট ৫৬১ আপিল পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। আজ থেকে পর্যায়ক্রমে এসব আপিলের শুনানি ও সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা
ঢাকা-৫ কামরুল হাসান (রিপন), টাঙ্গাইল-২ আসনে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৭ রাফিউর রহমান খান ইউসুফ জাই, জামালপুর-২ জিয়াউল হক জিয়া, গোপালগঞ্জ-১ কাবির মিয়া, চট্টগ্রাম-১ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-২ মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম-৮ আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম-১৫ আব্দুল মোতালেব, বরগুনা-১ খলিলুর রহমান, মেহেরপুর-২ মোখলেসুর রহমান, রংপুর-২ বিশ্বনাথ সরকার, ফরিদপুর-১ মাহমুদা বেগম ও মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, মাদারীপুর-২ ইউসুফ আলী সুমন, যশোর-২ এসএম হাবিবুর রহমান, যশোর-৩ মোহিত কুমার নাথ, যশোর-৬ আজিজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-১ ফিরোজ আল মামুন, বরিশাল-৬ মোহাম্মদ শামসুল আলম, কুমিল্লা-৫ সাজ্জাদ হোসেন ও এম এ জাহের, বরগুনা-১ নুরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শরীয়তপুর-১ গোলাম মোস্তফা, শরীয়তপুর-২ খালেদ শওকত আলী, নীলফামারী-১ জয়নাল আবেদীন, গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর, গাইবান্ধা-৫ ফারজানা রাব্বী বুবলী, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম, নেত্রকোনা-৫ আনোয়ার হোসেন, ঝালকাঠি-১ আবুল কাসেম মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ হালিমুল হক মীরু এবং বগুড়া-৩ আফজাল হোসেন।
আপিলে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির পাঁচজন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তারা হলেন-নোয়াখালী-২ আসনের তালেবুজ্জামান, যশোর-১ আসনের আক্তারুজ্জামান, খুলনা-৬ আসনের শফিকুল ইসলাম মধু, কুমিল্লা-২ আসনের এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম ও গাজীপুর-১ আসনের এম এম নিয়াজ উদ্দিন।
এছাড়া তৃণমূল বিএনপির খুলনা-৪ আসনের শেখ হাবিবুর রহমান, সিলেট-২ আসনে আব্দুর রব এবং সুপ্রিম পার্টির ঢাকা-২০ আসনের মিনহাজ উদ্দিন ও ময়মনসিংহ-১১ আসনের এবিএম জিয়া উদ্দিন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। বিএনএফের মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের মমতাজ সুলতানা আহমেদ ও মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের বাচ্চু শেখের আপিলও মঞ্জুর হয়েছে।
যশোর-৩ আসনের জাকের পার্টির মহিদুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের যশোর-৩ আসনের প্রার্থী শেখ নুরুজ্জামান ও পাবনা-২ আসনের ডলি সায়ন্তনীও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। বাংলাদেশ কংগ্রেসের লালমনিরহাট-২ আসনের মো. দেলাব্বর হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ, বগুড়া-৪ আশরাফুল আলম (হিরো আলম) ও নেত্রকোনা-২ আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. আজহারুল ইসলাম খান, ইসলামী ফ্রন্টের ঢাকা-১৩ আসনের মো. জাফর ইকবাল নান্টু এবং জামালপুর-১ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন