গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। ভোটের দিন থেকে পরবর্তী ১০ দিনের বিভিন্ন সংঘাতের ঘটনা এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সরকারের ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন থেকে পরবর্তী ১০ দিনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ সাড়ে চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ভোটকে কেন্দ্র করে ৩৪৫টি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার বেসরকারি সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদে স্থান পেয়েছেন যারা-
১. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১)
২. ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫)
৩. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪)
৪. আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২)
৫. ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩)
৬. মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯)
৭. মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১)
৮. আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪)
৯. আনিসুল হক (বাহ্মণবাড়িয়া-৪)
১০. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭)
১১. মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪)
১২. সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১)
১৩. র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩)
১৪. মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১)
১৫. নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫)
১৬. আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯)
১৭. মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯)
১৮. ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১)
১৯. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২)
২০. মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২)
২১. সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯)
২২. জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩)
২৩. নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)
এবং টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী দুজন হচ্ছেন-
২৪. স্থপতি ইয়াফেস ওসমান
২৫. সামন্ত লাল সেন
প্রতিমন্ত্রী
১. বেগম সিমিন হোমেন (রিমি) (গাজীপুর-৪)
২. নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩)
৩. জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩)
৪. মোহাম্মদ আলী আরাফাত (ঢাকা-১৭)
৫. মো. মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী-৪)
৬. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২)
৭. জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫)
৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি)
১৯. বেগম রুমানা আলী (গাজীপুর-৩)
১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী (সিলেট-২)
১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু) (টাঙ্গাইল-৬)
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ জানুয়ারি। এতে ২২৩টি আসন পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পায় ৬২টি আসন। জাতীয় পার্টি ১১ ও কল্যাণ পার্টি জিতেছে ১টি আসনে। এ ছাড়া নৌকা প্রতীক নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ একটি করে আসনে জয় পায়। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশের পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত এমপিরা। আর এমপিদের শপথ গ্রহণের একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ওইদিন বিকেলেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন