কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘দেশে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি রংপুর-বরিশাল বিভাগে’

রংপুর ও বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। ছবি : সংগৃহীত
রংপুর ও বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। ছবি : সংগৃহীত

দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি রংপুর ও বরিশাল বিভাগে। বিভাগ দুটিতে দারিদ্র্যের হার যথাক্রমে ৪২.৯ শতাংশ এবং ৩২.৫ শতাংশ। তবে, বর্তমানে দেশে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২০.৭ শতাংশ। এরমধ্যে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যের হার ২১.৬ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮.৭ শতাংশ।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গেল বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশজুড়ে খানা পর্যায়ে পরিচালিত এ জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সানেম। এই জরিপের আওতায় ছিল দেশের ৬৪ জেলায় ৯ হাজার ৬৫টি খানা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২০.৭ শতাংশ। এরমধ্যে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যের হার ২১.৬ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮.৭ শতাংশ। বাংলাদেশে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২০১৮ সালে ছিল ২৪.৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ২১.৬ শতাংশ-এ হ্রাস পেলেও শহুরে দারিদ্র্যের হার ১৬.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮.৭ শতাংশ হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার রংপুর ও বরিশালে; যথাক্রমে ৪২.৯ শতাংশ এবং ৩২.৫ শতাংশ।

জরিপে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। গ্রামীণ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ৩০.৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ২৭.৬ শতাংশে, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে তা ২০১৮ সালে ১৬.৮ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে।

গবেষণায় মৌলিক চাহিদার খরচভিত্তিক দারিদ্র্য এবং বহুমাত্রিক দারিদ্র্য পদ্ধতি, উভয় ক্ষেত্রেই শহুরে দারিদ্র্য বৃদ্ধির পেছনের দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত- নাজুক দরিদ্রদের (যারা দারিদ্র্যসীমার ওপরে থাকলেও যে কোনো ধাক্কার প্রভাব তাদের দারিদ্র্যসীমার নিচে নামিয়ে দিতে পারে) একটি বড় অংশ শহুরে অঞ্চলগুলোতে বসবাস করে, যারা দারিদ্র্যের হাত থেকে বাঁচতে অথবা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইত্যাদি কারণে শহরে স্থানান্তরিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির মতো উল্লেখযোগ্য ধাক্কাগুলো এই নাজুক লোকদের দারিদ্র্যসীমার নিচে নামিয়ে দিতে পারে। এবং দ্বিতীয়ত, শহুরে এলাকাগুলো বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোতে ব্যাপকভাবে আওতাভুক্ত না, যার ফলে অনেক শহুরে পরিবার ধাক্কার প্রতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ থাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

মা-বাবা ও স্ত্রীর নামে কসম করলে কী হয়? জানালেন বিশেষজ্ঞ আলেম

৭ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমের প্রার্থিতার খবরে যা বলছেন হাদি

নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

১০

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

১১

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

১২

ঘুষ নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে গালি দিয়ে ভূমি কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্ট

১৩

কুয়াশা নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪

নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি

১৫

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

১৬

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

১৭

‘আমাকে সাসপেন্ড করেন’ বলতে থাকা চিকিৎসককে অব্যাহতি

১৮

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বিকল্প কেউ নেই : কায়কোবাদ

১৯

গণতন্ত্র উত্তরণে খালেদা জিয়ার বেঁচে থাকা জরুরি : অমিত

২০
X