প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘সাবসিডিয়ারি তোলার জন্য আইএমএফ আমাদের অনেক শর্ত দিচ্ছে। আপনারা জানলে খুশি হবেন সরকার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রয়োজন হলে আমরা আইএমএফ থেকে বেরিয়ে আসব।’
শনিবার (৩ মার্চ) রাজধানীতে কৃষি বাজেট নিয়ে এক সেমিনারে একথা জানান তিনি।
কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, প্রয়োজনে দাতা সংস্থা আইএমএফের শর্ত না মেনে এ খাতে সুবিধা দেওয়া হবে।
দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত কৃষি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে একমাত্র অবলম্বন এই খাতটি। বর্তমানে দেশের জিডিপিতে যার অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি বলছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ হতে পারে ৪০ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।
কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সেমিনারে বক্তারা বলেন, কৃষি পণ্য ও এ খাতের যন্ত্রপাতির দাম কমানো গেলে উপকৃত হবেন কৃষকরা।
মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘কৃষিপণ্যের দাম যদি কমে আর তার সাথে কৃষি উপকরণের দাম যদি না কমে তাহলে কৃষক মরে যাবে। সেই আমাদের কৃষিপণ্য সার, বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে।’
কৃষিবিদরা বলছেন, গত চার বছরে কৃষিতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তারা জানান, যে হারে মূল বাজেট বাড়ছে, সে হারে কৃষিতে বাজেট বাড়ছে না। তাই বাজেট প্রণয়নকারীদের এ খাতের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া তাগিদ তাদের।
কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যেই হারে মোট বাজেট বাড়ছে, সেই হারে কৃষিবাজেট বাড়ছে না। আমরা যদি আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই এবং আগামী ৩০ সালের মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই তাহলে রিভার্স করতে হবে।’
মূল বাজেটে কৃষি খাতের বরাদ্দ ১০ শতাংশ আর ভর্তুকিতে ৫ শতাংশ করা গেলে এই খাত আগামীতে উঠে দাঁড়াবে বলে দাবি গবেষকদের।
মন্তব্য করুন