বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর প্রায় ৪১ শতাংশ শিশু-কিশোর-যুবরা শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে ছিল।
তবে সরকার ইতোমধ্যে ১০ লাখ ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষায় ‘দ্বিতীয় সুযোগ’ কার্যক্রমের আওতায় ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন’ প্রকল্প উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাধারায় বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু প্রকল্পভিত্তিক স্বল্পমেয়াদি এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা থাকে না বলে এ শিক্ষা প্রায়শ টেকসই হয় না এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থীর তেমন কোনো কাজে আসে না। সেকারণে এটিকে প্রকল্পভিত্তিক না রেখে পিইডিপি-৫ পরিকল্পনায় মূলধারার কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে ‘বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার চ্যালেঞ্জ: সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করা, উপবৃত্তির সংখ্যা এবং পরিমাণ বাড়ানো, মিড ডে মিল সর্বজনীনভাবে চালু করা অতীব জরুরি। এছাড়াও শুধু শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। সেই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাকে আরো বেশি বাজার উপযোগী করে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ। সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা. নূরজাহান খাতুন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ এবং চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ। মতবিনিময় সভায় সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড়-শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে নিজেদের সুপারিশ তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন