বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। ধানক্ষেত থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা যে কোনো জায়গায় মিলছে এ বিষধর সাপ। এতে করে একদিকে জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে কৃষকরা এই সাপের ভয়ে ফসলি জমিতে কাজ করতে ভয় পাচ্ছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এক আতংকের নাম রাসেল ভাইপার। গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই সাপ। বিশেষ করে পদ্মা-যমুনা নদী ও তার অববাহিকায় বেশি দেখা মিলছে এই বিষধর সাপের। এখন পর্যন্ত রাসেল ভাইপার যেসব জেলায় পাওয়া গেছে তা হলো-
গত বছরের ৩ জুলাই রাজবাড়ী জেলার পাংশ সুর চরপাড় এলাকার জাহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি রাসেল ভাইপারের ছোবলের শিকার হন। তিনি ওইদিন সকালে পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙুলিতে কিছু একটা কামড় দেয়। দেখতে পান ছোট্ট একটি কালো রঙের সাপ। সাপটিকে সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলেন তিনি। এরপর সেই সাপ নিয়ে তিনি চলে যান স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাপটিকে বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন।
একই বছরের ২০ ডিসেম্বর রাজবাড়ির পাংশায় আবারও এই বিষধর সাপের দেখা মেলে। প্রায় চার ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাসেল ভাইপার সাপ পিটিয়ে মেরে ফেলে কয়েকজন শিশু। ওইদিন সকালে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের শাহমীরপুর গ্রামের পদ্মানদীর তীরের আখ মাড়াইয়ের খোলা থেকে সাপটি মারা হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, ১০-১২ বয়সী কয়েকজন শিশু আখ খেতের খোলায় যায়। এ সময় খোলাতে স্তূপ করে রাখা আখের বিজ সরানোর কাজ করছিলেন এক নারী। পরে আখ বিজের স্তূপের মধ্যে তিনি একটি সাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন। একপর্যায়ে সেখানে থাকা ওই শিশুরা পিটিয়ে সাপটি মেরে নদীতে ফেলে দেয়। জানা যায়, সাপটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় চার ফুট।
এরপর থেকে পদ্মা তীরবর্তী চরাঞ্চলের মজলিশপুর, দেবীপুর, চর দৌলতদিয়া ও আংকের শেখেরপাড়া গ্রাম এলাকায় কৃষি ক্ষেতে ভয়ংকর বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত) এর উপদ্রব আরও বেড়েছে।
একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর পাবনা সদর উপজেলার চরাঞ্চলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জালে ধরা পড়ে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। খবর পেয়ে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের সদস্যরা প্রাণীটিকে জীবিত উদ্ধার করে। টিমের রেস্কিউয়ার এবং সংগঠনটির সভাপতি মো. রাজু আহমেদ জানান, হটলাইনে ফোনকল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করি।
ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া উপজেলায় ভূমিহীন বাজারের পাশে ধানক্ষেতে ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মেলে। তবে স্থানীয়রা প্রথমে এটিকে অজগর সাপ মনে করলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা পরে সাপটিকে রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন।
চলতি বছরের ১ মার্চ দুপুরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরে ভুট্টা ক্ষেতে পানি দেওয়ার রাসেল ভাইপারের আক্রমণের শিকার হন শেখ লাল মিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরও ছয় দিন পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার ঠিক ৩ মাস পর অর্থাৎ ৩ জুন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চরাঞ্চল লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নে ফসলের ক্ষেতে রাসেল ভাইপার দেখা যায়। পরে কৃষকেরা লাঠিসোঁটা দিয়ে সাপটি মেরে ফেলে।
স্থানীয়রা জানান, চরাঞ্চলে শতশত বিঘা জমিতে ভুট্টা, বাদাম, তিল, আমন ও আউশ ধানের চাষ করা হয়। কিন্তু ফসলের জমিতে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার দেখা দেওয়ায় বিপাকে রয়েছে কয়েক হাজার কৃষক। গত তিন মাসের মধ্যে চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপারের কামড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
একই দিনে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে মাছ ধরছিলেন ভাটা ব্যবসায়ী তারিক শেখ। এ সময় রাসেল ভাইপার তাকে কামড় দেয়। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ দিন পর তার মৃত্যু হয়।
গত ৭ মার্চ ফরিদপুরের চর ভদ্রাসনের চর শালেপুরে সরিষা কাটতে গিয়েছিলেন কৃষক বিশা প্রামাণিক। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে তাকে রাসেল ভাইপারে কামড় দেয়। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সাপে কামড় দেওয়ার ৩৬ দিন পর ১৩ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।
এরপর ২৯ মার্চ গোয়ালন্দের দেবীপুর চরে ময়না বেগম নামের এক শ্রমিককে সাপে কামড়ানোর পর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা গ্রহণের ১৪ দিন পর নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
গত ৮ এপ্রিল গোয়ালন্দের চর মজলিশপুর এলাকায় ভুট্টা ক্ষেত পরিচর্যাকালে সাঈদুল শেখ নামের এক কৃষককে সাপে কামড়ায়। ওই দিনই তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সাপে কামড়ানোর সাত দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান কৃষক সাঈদুল।
সর্বশেষ ৭ জুন সকালে দুজন কৃষক আমন ধান কেটে রেখে দেয়। পরে দুপুরে আঁটি বাঁধা সেই ধান তুলতে গিয়ে রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় তারা। তাদের দুজনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাপের কামড়ের খবরে অন্য শ্রমিকরা ধান রেখে চলে যায়। এমনকি ভয়ে গরুর ঘাস কাটতেও যাচ্ছেন না অনেকে।
চলতি বছরের ১৬ মে উপজেলার বোরচরে কৃষক সুমন বেপারির জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখা মিলে রাসেল ভাইপারের। পরে সবাই মিলে মেরে ফেলে এই বিষধর সাপটিকে।
সুমন বেপারি জানান, সকালে আমার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখি ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলি। পড়ে দেখি এটি একটি বিষধর রাসেল ভাইপার।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে গফুর বাদশার আলুর জমিতে দেখা মিলেছিল দুটি রাসেল ভাইপারের।
একইদিন অর্থাৎ ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ধানক্ষেতে দেখা মেলে পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের বিষধর রাসেল ভাইপার। পরে কৃষকেরা সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলেন। ওইদিন সকালে উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের চরজিংকিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চরজিংকিং এলাকার কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, সকালে তারা কয়েকজন চরজিংকিং এলাকায় ধান কাটতে যান। এ সময় সাপটি কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকতে দেখে তারা চিৎকার করেন। পরে অন্য কৃষকরা এগিয়ে এসে সাপটি মেরে ফেলেন।
এ ঘটনার পর ২৮ মে আবারও উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের নয়ানগর বটতলা এলাকা থেকে একটি রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা।
সর্বশেষ ১৮ জুন সকালে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের পাচুখার কান্দি গ্রামের এমদাদুল হক নামে এক ব্যক্তির ফসলি জমিতে সাপটির দেখা মিলে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আতঙ্কিত হয়ে সাপটিকে তৎক্ষণাৎ পিটিয়ে মেরে ফেলেন লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক কালবেলাকে জানান, বিভিন্ন সময় ফেসবুকে রাসেল ভাইপার সাপ দেখেছি। এবার বাস্তবে ফসলি জমিতে এ সাপের দেখা মিলল। মঙ্গলবার সকালে গরুর জন্য আমার ফসলি জমিতে ঘাস কাটতে গিয়ে দেখি সাপটি জমিতে থাকা জালের বেড়ায় আটকে আছে। পরে সাপটির ছবি তুলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শনাক্ত করি যে জালে আটকে থাকা সাপটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ। সাপটি দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।
গত ৩১ মে সকাল ১০টার দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মাঠে কাজ করার সময় হেফজুল আলী নামে এক কৃষককে রাসেল ভাইপার কামড় দেয়। সে সময় তিনি সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। পরে সেই সাপ নিয়েই তিনি চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে তাকে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত হেফজুল জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় ধানক্ষেতে কাজের জন্য গেলে একটি সাপ তাকে কামড় দেয়। এ সময় তিনি আতঙ্কিত না হয়ে তিনি নিজেই সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। পরে সাপসহ স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ভোলায় তিন দিনের ব্যবধানে দুইটি রাসেল ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতের পর প্রকাশ্যে দেখা মিলছে এই রাসেল ভাইপারের। বিষধর এই সাপ সম্পর্কে গ্রামগঞ্জের মানুষের মধ্যে ধরনা বা পরিচিতি একেবারেই নেই বললেই চলে। এর আগে ভোলায় দু-একটি ধরা পড়লেও তা অবমুক্ত করা হয়েছিল। সম্প্রতি ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধরা পড়ছে রাসেল ভাইপার।
গত রোববার (১৬ জুন) ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দাবাদ এলাকার হেমায়েত মাওলানা বাড়ির সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাথরুমে সাপটির দেখা মেলে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আতঙ্কিত হয়ে সাপটিকে তাৎক্ষণিক পিটিয়ে মেরে ফেলেন লোকজন।
এরপর মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোলা সদরের পূর্ব ইলিশায় এক বসত বাড়ির পাশের রাস্তায় দেখা মেলে বিষধর এ সাপটিকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় সাপটি।
তথ্য অনুযায়ী, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেই এ সাপের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। এ প্রজাতির সাপের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। তবে বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় এ প্রজাতির সাপের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। উত্তরবঙ্গে রাসেল ভাইপার সাপ চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামে পরিচিত।
সাপটির গাঁয়ের রং এবং চিত্রাকৃতির হওয়ায় ভোলার বেশিরভাগ মানুষ এটিকে নদীতে বাস করা অথবা অজগরের ছদ্মনাম বলেই জানে। বাংলাদেশে যে সব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ।
আফ্রিকা উপমহাদেশ থেকে আসা এ বিষধর সাপের উপদ্রব এখনই কমানো না গেলে পরে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতনমহল।
বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, রাসেল ভাইপার (Russell's Viper) সাপটি ‘চন্দ্রবোড়া’নামেও পরিচিত।
তিনি বলেন, ‘রাসেল ভাইপার দেখতে মোটাসোটা তবে লেজ সরু হয়ে থাকে। মাথা ত্রিভুজাকার এবং ‘V’ আকৃতির সাদা রেখা আছে। শরীরের পৃষ্ঠতল বাদামী এবং বৃত্তাকার বা ডিম্বাকৃতির গাঢ় চিহ্নের তিনটি লম্বা সারি রয়েছে। সাপটির গায়ে ছোপ-ছোপ গোলাকার কালো দাগ থাকে।’
জোহরা মিলা বলেন, ‘সাপটি লম্বায় তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। মাথার তুলনায় ঘাড় বেশ সরু। এর গায়ের রং হালকা হলদে বাদামী। ফলে শুকনো ঘাস-পাতার মধ্যে নিজেকে সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে। আতংকিত হলে বা হুমকি অনুভব করলে জিহ্বা বের করে প্রচণ্ড হিসহিস শব্দ করে।
সাপটি সম্পর্কে যার ধারণা নেই তিনি এটিকে অজগর ভেবেই ভুল করবেন। এই প্রজাতিটি প্রাথমিকভাবে নিশাচর হিসেবে সক্রিয়। অর্থাৎ সাধারণত রাতে শিকার বা খাদ্যের সন্ধানে বিচরণ করে এই সাপ।’
রাসেল ভাইপার অত্যন্ত বিপজ্জনক সাপ। তবে এর সামনে পড়লে আতংকিত না হয়ে সাবধানতার সাথে সে স্থান থেকে সরে যাওয়াই উত্তম বলে মনে করেন জোহরা মিলা। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে সাপটির কবল থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
তার ভাষায়, ‘মাঠে কাজ করার সময় অবশ্যই গামবুট ও জিন্সের প্যান্ট পড়তে হবে যেন বাড়তি নিরাপত্তা পাওয়া যায়। কাজ শুরুর আগে ছোট বাঁশ বা লাঠি বা অন্য কিছু দিয়ে শব্দ করতে হবে যেন, আশেপাশে রাসেল ভাইপার থাকলে তা দূরে সরে যায়। জমিতে কাজের ফাঁকেও এটি করতে হবে।’
‘নিশ্চিত না হয়ে কোনোভাবেই ঝোপঝাড়, বড় ঘাস, পুরাতন ও দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ইট-পাথরে হাত দেবেন না’, যোগ করেন তিনি।
সর্বোপরি যেসব এলাকায় এই সাপের উপদ্রব রয়েছে সেসব এলাকায় চলাফেরা ও দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলেও মনে করেন এই বন কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন