কালবেলার নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবেলার এবারের পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদক জয়ী চিকিৎসক, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান। ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’-কে সামনে রেখে কথা বলেছেন ডায়াবেটিসের নানা দিক নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম তারেক
প্রশ্ন : ডায়াবেটিস রোগটি নিয়ে জানতে চাই...
উত্তর : এটি একটি বিপাকজনিত রোগ। শরীরের মেটাবলিজমের গোলমাল হয়ে যায়। এ ছাড়াও নানা জটিল কারণে রোগটি হয়ে থাকে। ইনসুলিন নামক একটি হরমন অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হয়। সেই হরমোনটার ঘাটতি অথবা কাজের ঘাটতি অথবা দুটি একসাথে হলে ডায়াবেটিস হয়। এ রোগ প্রধানত দুই ধরনের। প্রথমত ইনসুলিন একেবারেই নেই। যাকে আমরা বলি, ইনসুলিন ডিপেন্ডেন্ট। তা যদি ইমোনোলজিক্যাল হয়- আমরা বলি টাইপ ওয়ান। ইনসুলিন হচ্ছে এমন একটি হরমোন। যা বেঁচে থাকতে অপরিহার্য। সাধারণ মানুষের মনে হতে পারে- যে কোন হরমোন মানুষের বেঁচে থাকাতে অপরিহার্য। তবে সব হরমোন পুরোপুরি সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। শুধু বেঁচে থাকার জন্য সকল হরমোন অপরিহার্য নয়। যেমন ছাগলকে ক্যাস্ট্রেট করে দেই। ফলে ছাগল মারা যায় না, খাসিতে পরিণত হয়। বাচ্চা জন্ম দিতে পারে না। সুতরাং কোলেস্টেরল যে হরমোন সেটা বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য না, সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে প্রয়োজন। তেমনি ইনসুলিন বেঁচে থাকাতে অপরিহার্য।
আরেকটি দিক হলো ইনসুলিন আছে, তবে ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। যাকে বলা হয় কমপ্লেক্স মেকানিজম। অন্যভাবে বললে, ইনসুলিনার রিসিভটর আছে বডিতে কিন্তু রিসিভটর কাজ করতে পারছে না। যা টাইপ টু নন-ডিপেন্ডেন্ট ডায়াবেটিস। এ ছাড়াও অনেকের সেকেন্ডারি ডায়াবেটিস রয়েছে। যেমন একটি লোকের প্যানক্রিয়াস ক্যানসার হলো। ফলে তার প্যানক্রিয়াস কেটে ফেলে দেওয়া বা শরীরে এন্টি ইনসুলিন জাতীয় জিনিস বেশি হয়ে যায়। তখন সেকেন্ডারি ডায়াবেটিস হয়।
প্রশ্ন : পৃথিবীর মোট ডায়াবেটিস রোগীর ৮৭ শতাংশই উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোতে বাস করছেন। আমাদের দেশের ডায়াবেটিসের চিত্র জানতে চাই...
উত্তর : ডায়বেটিস পৃথিবীব্যাপী মহামারি। তবে যে তথ্যটা অজানা তা হলো, মানুষ মনে করে টাইপ টু ডায়াবেটিস ধনী দের বেশি হয়। তা ঠিক, তবে টাইপ টু ডায়াবেটিস গরিব লোকদেরও হয়। বৃদ্ধির হার উন্নত বিশ্বের চাইতে আমাদের মতো উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত এগুলোতেই বেশি। প্রশ্ন আসবে কেন? উত্তর দুটি। প্রথমত বংশগত। যেটাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় জেনেটিক ইনফ্লুয়েন্স বলে। দ্বিতীয়ত পারিপার্শ্বিক। ব্যক্তির জীবনযাপন পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন : বংশগত প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?
উত্তর : ডাইবেটিস রোগী জীবনসঙ্গী নির্বাচনে আরেকজন ডায়াবেটিক রোগীর সাথে বিবাহবন্ধনে এড়াতে হবে। যদিও বাস্তবিক অর্থে তা অনেকটাই অসম্ভব। আশঙ্কার বিষয় হলো মানুষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। হাঁটা চলা কমে যাচ্ছে। শহরগুলোতে হাঁটা চলার জায়গা পর্যাপ্ত নেই। বলা যায় ডায়াবেটিস বহুলাংশে প্রতিরোধযোগ্য। অন্তত ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ প্রতিরোধযোগ্য।
প্রশ্ন : বর্তমানে অনেকেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানেন। দেখা যাচ্ছে জীবনের একটা সময় পর মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত যাচ্ছে। এর আর কী কারণ আছে বলে মনে করেন?
উত্তর : আমি বলব হিউম্যান সাইকোলজি। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কে না জানে? তাও মানুষ ধূমপান করছে। এক্ষেত্রে হিউম্যান সাইকোলজি সবার ক্যানসার হয় না। মনে করে আমারও হবে না, আমি বেঁচে যাব। প্রশ্ন হলো ধূমপান করলে কি সবারই লাং ক্যানসার হয়? লাংক ক্যান্সারের যে ইনসিডেন্ট বা প্রিফারেন্স যাই বলেন, তা ধূমপানকারী মধ্যে অনেক অনেক বেশি। এমনকি কিছু কিছু লাং ক্যানসার আছে যা শুধু ধূমপানকারী হয়ে থাকে। যেমন ব্রংকোজেনিক। পৃথিবীর সব দেশেই টাইপ-টু-টাইপ ওয়ান থেকে অনেক বেশি। তবে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে টাইপ ওয়ান টাইপ টু আরও অনেক অনেক বেশি। সুতরাং আমাদের দেশে টাইপ টু ডায়াবেটিস বৃদ্ধির অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন। মানুষের শারীরিক কাজকর্ম কমে যাচ্ছে। ফাস্টফুড এবং জাঙ্ক ফুডের দিকে মানুষ আসক্ত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত এসব খাবারের নিয়ন্ত্রণহীন চটকদার বিজ্ঞাপন। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা ফাস্টফুড অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। উন্নত দেশগুলোতে ফাস্টফুড বিজ্ঞাপনের নিয়ম রয়েছে। বাচ্চাদের স্কুলের আশপাশে ফাস্টফুড কোন দোকান থাকা যাবে না। অন্যদিকে ঢাকা শহরে ফাস্টফুড সব দোকান স্কুলের পাশে। অর্থ লিপ্সায় মানুষ মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিচ্ছে।
প্রশ্ন : অনন্যা রোগসমূহ কী ডায়াবেটিসকে প্রভাবিত করে?
উত্তর : ডায়াবেটিসের পেছনের কারণ জটিল। প্রধানত জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তন এবং বংশগত গত প্রভাব। এ ছাড়াও দুশ্চিন্তার কারণে শরীরে হরমোনাল চেঞ্জ হয়। যা ডায়াবেটিস হওয়াকে প্রভাবিত করে। অন্যদিকে মানুষের আয়ু কাল বেড়েছে। মানুষের আয়ু যত বাড়বে তার ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা ততোই বাড়ে।
প্রশ্ন : শরীরের ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলো কী কী?
উত্তর : ডায়াবেটিস পরিপাকের রোগ। আমরা যে খাবার গ্রহণ করি, তা বিপাক তন্ত্রে যাওয়ার পর এই খাবারগুলোর যে মৌলিক উপাদান- যেমন : সুগার, অ্যামাইনো এসিডসহ অন্যান্য সকল উপাদানের ওপর প্রভাব ফেলে ডায়াবেটিস। যদিও আমরা সুগার মেপে ডায়াবেটিস মাপি। কিন্তু এর প্রভাব থাকে খাবারের সকল মৌলিক উপাদানের ওপর। তাই আমি বলি- ডায়াবেটিস শরীরের সকল অঙ্গকে প্রভাবিত করবে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তখন বলা হতো যে সিফিলিস সম্পর্কে জানলে মেডিসিন সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে। কারণ এটা সব অঙ্গ-অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করত তাই- একই কথা ডায়াবেটিসের জন্য প্রযোজ্য। যেমন ব্রেইন এফেক্ট করে স্ট্রোক হয়, চোখে এফেক্ট করে, হার্ট এফেক্ট করে হার্ট অ্যাটাক হয়, নার্ভ এফেক্ট করে নিউরোপ্যাথি হয়ে যায়, কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়, পা এফেক্ট করে পচনশীল হয়ে যায়।
প্রশ্ন : ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী কীভাবে পরিত্রাণ পেতে পারে?
উত্তর : ডায়াবেটিস বহু অংশে প্রতিরোধযোগ্য। এর জন্য দুটি কাজ করতে হবে। ডায়াবেটিস হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে জটিলতা পরিহার করা সম্ভব। সে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস সাধারণত এক বছর বয়স থেকে শুরু হয়। লক্ষণ অল্প বয়স থেকেই দেখা দেয়। অন্যদিকে টাইপ টু ডায়াবেটিসের শুরুতে অধিকাংশই লক্ষণ থাকে না। এজন্য বলা হয় নীরব ঘাতক। লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই অল্প বয়সে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে পরীক্ষার আওতায় আসতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম তাদেরও বয়স ৪০ পার হওয়ার পর পরীক্ষার আওতায় আসতে হবে।
প্রশ্ন : দেশে ১০০ জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে ৬২ জন জানে না তারা আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের ক্ষণগুলো যদি বলতেন?
উত্তর : টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের লক্ষণের মধ্যে রয়েছে খুব তৃষ্ণা লাগবে, বারবার প্রস্রাব হবে, শরীর শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও শরীর দুর্বল, চোখে ঝাপসা দেখা, ঘা শুকাতে দেরি করা, ঘা থেকে পচন দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে কিডনি ফেইল হতে পারেসহ হাত-পা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
প্রশ্ন : ডায়াবেটিস সমিতি কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাই…
উত্তর : বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি পৃথিবীর বৃহত্তম ডায়াবেটিস সমিতি। অন্যরা আমাদের কাছাকাছিও নাই। এর কারণ-সমিতিগুলো এক ধরনের ডায়াবেটিসের এডভোকেসি করে। গার্ড লাইন তৈরি করে। তারা নিজেরা সরাসরি সেবা দেয় না। উন্নত বিশ্বে এর প্রয়োজনও পড়ে না। কারণ সেখানে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস আছে। আমাদের যারা ফাউন্ডিং ফাদার, বিশেষ করে জাতীয় অধ্যাপক ডা. ইব্রাহিম বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির প্রতিষ্ঠাতা। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে নিজেরাই কেয়ার না দেই তাহলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেয়ার হবে না। হচ্ছেও না। কারণ ডায়াবেটিস আজীবনের রোগ। তাই আমাদের রোগীকে শিক্ষিত করতে হবে, তার পরিবারকে শিক্ষিত করতে হবে। রেকর্ড থাকতে হবে। কারণ রোগী যেন ফলোআপ করতে পারে। শুরুর থেকেই ডায়াবেটিস সমিতি তাই করছে।
প্রশ্ন : জেলা পর্যায়ে ডায়াবেটিস সমিতির কি কার্যক্রম রয়েছে?
উত্তর : প্রত্যেক জেলায় আমাদের অধিভুক্ত সমিতি আছে। ডাক্তার দের ডায়াবেটিস সেবায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। প্রশিক্ষণে মানুষকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। আমদের পরিকল্পনা রয়েছে গ্রামপর্যায়ে এসব কার্যক্রম করার। হেলথ কেয়ার বর্তমানে ডিজিটাল টেকনোলজির প্রভাবে মানুষের হাতের নাগালের এসে গেছে।
প্রশ্ন : ডায়াবেটিস সমিতিতে যুক্ত হলে কী ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়?
উত্তর : ডায়াবেটিস রোগী সমিতিতে যুক্ত হলে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকেন। আমাদের সেবার পদ্ধতি ক্রস ফাইন্যান্সিং। যারা সামর্থ্যবান তারা খরচ করে। সামর্থ্যবান থেকে সারপ্লাস করে সামর্থ্যহীনদের সেবা দেওয়া হয়।
প্রশ্ন : ২০২৩ সালে এসে ডায়াবেটিস সমিতির কতটা প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে?
উত্তর : প্রতিষ্ঠা লগ্নে ডায়াবেটিস সমিতি একটা মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়েছে। কোনো রোগী গরিব হলেও বিনাচিকিৎসায়, বিনা খাদ্য এমনকি বিনা কর্মসংস্থানে মারা যাবে না। আমরা সব অর্জন করতে পারেনি। তবে আমরা এগোচ্ছি। বাংলাদেশে যে পরিমাণ ডায়াবেটিস রোগী আছে তার ৫০ শতাংশের বেশি আমাদের সেবার আওতায় এসেছে। সচেতনতা বেড়েছে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রোগী, যারা ইনসুলনের ওপর নির্ভরশীল, তাদের ইনস্যুলিন হচ্ছে মানবাধিকার। সেটা আমরা সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেখানে আমাকেও সদস্য করা হয়েছিল। প্রথম মিটিংয়ে আমি পরামর্শ দিয়েছি বিনামূল্যে ইনস্যুলিন প্রদান করার। আমাদের পরামর্শ সরকার গ্রহণ করছে। প্রশ্ন : ডায়াবেটিস সমিতির সাথে যুক্ত হওয়ার পদ্ধতি নিয়ে জানতে চাই…
উত্তর : যেখানে ডায়াবেটিস সমিতির অধিভুক্ত সমিতি রয়েছে একজন রোগী চাইলে রেজিস্ট্রি করে সদস্য হয়ে যেতে পারবেন। রেজিস্টেশনের আওতায় আসলে আমরা রোগীকে নিয়মিত ওষুধসহ প্রেসক্রাইব করব। পরিকল্পনা রয়েছে ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে রোগী সেন্টারে না গিয়েই সেবা পাবেন।
প্রশ্ন : আমাদের অনুষ্ঠান প্রায় শেষ পর্যায়ে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধে আরও যদি কোন পরামর্শ থাকে…
উত্তর : প্রথম কথা- টাইপ টু ডায়াবেটিস এটা বহুলাংশে প্রতিরোধযোগ্য। সবাইকে এর প্রতিরোধের উপায় জানতে হবে। এবারের বিশ্ব ডায়াবেটিসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘আপনার ঝুঁকিগুলো নির্ধারণ করুন এবং ব্যবস্থা নিন।’ পৃথিবীব্যাপী এখন ওজানাধিক্য একটি বিশাল রোগ এবং ওজনাধিক্যই হচ্ছে বহু রোগের মূল কারণ। ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি। সুতরাং আপনি যদি ওজনাধিক্য বন্ধ করতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস বহু অংশ বন্ধ হয়ে যাবে। এখানে আমি একটি কথা বলি, আমাদের ধর্ম ইসলামেও আছে যে আপনি কখনো ভরা পেট খাবেন না এবং তিন ভাগের এক ভাগ খালি রাখবেন। তাহলেই ওজানাধিক্য হচ্ছে না। আপনার শরীর সচল রাখুন এবং উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে।
মন্তব্য করুন