পরবর্তী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র (২০২৭-২০২৯) থেকে টেস্ট ক্রিকেটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আইসিসি। সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান জয় শাহ জানিয়েছেন, ছোট দলগুলোকে বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ করে দিতেই চারদিনের টেস্ট চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো শক্তিধর দলগুলো পাঁচদিনের ঐতিহ্যবাহী টেস্ট চালিয়ে যেতে পারবে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।
বর্তমান ২০২৫–২৭ চক্রে মোট ২৭টি টেস্ট সিরিজ রয়েছে, যার মধ্যে ১৭টিই দুই ম্যাচের। বাজেট সংকট, সময় সংকট ও আয়োজনে কঠিনতা থাকায় অনেক ছোট দলই নিয়মিত টেস্ট খেলতে পারছে না। এই প্রেক্ষাপটে চারদিনের ম্যাচ আয়োজন তুলনামূলক সাশ্রয়ী ও বাস্তবসম্মত মনে করছে আইসিসি।
শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, অনেক অবদান রেখেছি ক্রিকেটে। অথচ আমাদের মাত্র চারটি টেস্ট ম্যাচ নির্ধারিত আছে পুরো বছরে! এটা দুঃখজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘কমপক্ষে ১০টি ম্যাচ যেন প্রতিটি দেশ খেলে, এটা নিশ্চিত করা দরকার।’
চারদিনের টেস্ট ম্যাচ প্রথম দেখা যায় ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে সিরিজে। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি চারদিনের ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও তারা একই ফরম্যাটে খেলে।
চারদিনের টেস্টে প্রতি দিনে ৯৮ ওভার বল করার নিয়ম থাকছে, যেখানে পাঁচদিনের ম্যাচে সেটি ৯০ ওভার।
টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে এ সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। একদিকে যেমন ছোট দলগুলো বেশি ম্যাচ পাবে, অন্যদিকে দর্শকসংখ্যা কমে যাওয়া ও খরচ বাড়ার মতো বাস্তব সমস্যার সমাধানও হতে পারে। তবে ঐতিহ্যগত পাঁচদিনের টেস্ট ঠিকই থাকবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার বড় সিরিজে।
লর্ডসে সদ্যসমাপ্ত আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এটি ছিল ১৯৯৮ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বড় ট্রফি জয়, এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে তৃতীয় দল হিসেবে শিরোপা জয়।
আইসিসির এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ২০২৭ সাল থেকে বদলে যেতে পারে টেস্ট ক্রিকেটের চেহারা।
মন্তব্য করুন