জি৭ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি করে ওয়াশিংটনে ফিরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার নির্দেশে হোয়াইট হাউসে ছুটে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অনেকে ধারণা করেছেন এ বৈঠকে ট্রাম্প ইরানে মার্কিন হামলার ঘোষণা দিতে পারেন। কারণ, এর আগে তেহরান খালি করার হুমকি দেন তিনি। বৈঠক শেষে কী সিদ্ধান্ত হলো তা জানতে সাংবাদিক, কূটনৈতিক, মিত্র পক্ষ, শত্রু সবাই চেষ্টা চালাচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কর্মসূচিতে হামলা চালানোর জন্য আমেরিকা ইসরায়েলের সাথে যোগ দিতে পারে কি না তা নিয়ে ট্রাম্প এখনও দ্বিধান্বিত।
কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প এবং তার জাতীয় নিরাপত্তা দলের মধ্যে ইরান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি বিকল্পের মধ্যে একটি ছিল ‘হামলা’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এখনও আশা করছেন মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের হুমকি ইরানকে দুর্বল করবে। ইরান ভয় পেয়ে পারমাণবিক আলোচনায় মার্কিন দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।
প্রসঙ্গত, ইরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত করার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি কোথায় খামেনি লুকিয়ে রয়েছেন তা শনাক্ত করার দাবি করেছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদে আছেন- আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।
মন্তব্য করুন