রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখনও সিসিইউ কেবিনে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো। নতুনভাবে দুইএকদিনের মধ্যে আবারও কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা চলছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এখন দিনে দুই দফা বৈঠক করে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন এবং সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করায় গত ৮ জুলাই ভোরে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেদিন ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অসুস্থ বোধ করায় ভোর রাত সোয়া চারটার দিকে ম্যাডামকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উনি এখন কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন।
গত ২২ জুন গভীর রাতে ‘হঠাৎ অসুস্থ’ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারী কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরদিন তার হৃদপিন্ডে পেসমেকার সফলভাবে বসানো হয়। দুইদিন সিসিইউতে থাকার পর মেডিকেল বোর্ড সিসিইউর সকল সুবিধা নিয়ে কেবিনে কয়েকদিন থেকে গত ২ জুলাই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এর আগে গতবছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
মন্তব্য করুন