দিনাজপুরের খানসামায় আট বছর ধরে অকেজো পড়েছিল কালামাটিয়া নদীর ওপর নির্মিত সংযোগ সড়কহীন সেতু। সংবাদ প্রকাশের পর সেই সেতুটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। একইসঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়নও চলছে পুরোদমে।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং প্রশাসনিক উদ্যোগে শুরু হয় কার্যকর ব্যবস্থা।
২০১৪ সালের ১০ মে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয়ে আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বাসুলী গ্রামে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নির্মাণের তিন বছরের মধ্যেই ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুটির এক পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এর পর দীর্ঘ আট বছরেও সেই সড়ক পুনর্গঠন করা হয়নি।
গত ২৯ এপ্রিল কালবেলায় ‘মাঠের মধ্যে পড়ে আছে ৪৭ লাখ টাকার সেতু’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলে বিষয়টি দ্রুত নজরে আসে প্রশাসনের। এর পরপরই উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) উদ্যোগ নেয় সমস্যার সমাধানে।
সংবাদ প্রকাশ করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা আবু রাশেদ বলেন, এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের খবর। সাংবাদিকদের মাধ্যমে এটি দারুণ প্রভাব পড়েছে।
স্থানীয় চিকিৎসক আব্দুস সালাম বলেন, আমরা অনেক কষ্টে পারাপার হই। এবার আশার মুখ দেখতে পেয়েছি। সেতুটি হলে আমাদের দুঃখ লাঘব হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. ওবায়দুর রহমান কালবেলাকে বলেন, মরিয়ম বাজারের সেতুটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল এবং এটি এখন কার্যকারিতাহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সেতুটি অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেতু অপসারণ করা হলে নতুন সেতুর কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন সেতুটি আধুনিক মানদণ্ডে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে দীর্ঘমেয়াদে জনগণের ভোগান্তি দূর হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার কালবেলাকে বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর আমরা দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। সড়ক ও সেতু নিয়ে যে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যেই তা দৃশ্যমান হবে।
মন্তব্য করুন