পদ্মা নদী থেকে ধরা প্রায় দুই কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকায়। শুক্রবার (০৯ মে) সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাজারে ইলিশটি নিলামে বিক্রি হলে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আট হাজার টাকায় কেনেন। পরে তিনি এক প্রবাসীর কাছে সাড়ে আট হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
শুক্রবার (০৯ মে) সকালে পদ্মা নদীর মোহনায় ফরিদপুরের কবিরপুর চরে জেলেদের জালে ইলিশটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। জেলেদের জালে বিভিন্ন প্রকারের মাছ ধরা পড়লেও ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। আজ ভোরে পদ্মা নদীর মোহনায় রাজবাড়ীর সীমান্তবর্তী এবং ফরিদপুর জেলার শুরু কবিরপুর চরে জেলে ইসমাইল হালদারের জালে একটি বড় ইলিশ ধরা পড়ে। মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের হালিম সরদারের আড়ত ঘরে তোলা হয়। এ সময় ওজন দিয়ে দেখা যায়, ইলিশটি প্রায় ১ কেজি ৯৬০ গ্রামের। পরে নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কিনে নেন।
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, মাঝেমধ্যে কাতলা, রুই, পাঙাশের দেখা মিললেও ইলিশের দেখা মিলে না বললেই চলে। হঠাৎ মাঝে-মধ্যে দু-একটি ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এ সময় সৌখিন টাকাওয়ালা মানুষেরা এসব মাছ কিনে নেন। এ ছাড়া এ বছর এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে প্রায় দুই কেজি ওজনের এত বড় ইলিশ এই প্রথম ধরা পড়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
শাকিল সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাহজাহান শেখ জানান, ভোরে জেলে ইসমাইল হালদারের কাছ থেকে ১ কেজি ৯৬০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছটি ৪ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ২৩২ টাকা দিয়ে কিনে নেই। পরে বিক্রির জন্য মাছের ছবিটি ফেসবুকে আপলোড করলে এক প্রবাসী ৪ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ৪২৮ দিয়ে কিনে নেন। প্রবাসীর পরিবার চট্টগ্রামে থাকে। তাই মাছটি সেখানে ডেলিভারি করা হবে।
তিনি আরও জানান, এই মৌসুমের এটাই সবচেয়ে বড় ইলিশ মাছ। এত বড় ইলিশ অনেক দিন এই পদ্মায় পাওয়া যায় না। তাই বেশি দাম হলেও মাছটি আমি কিনে নেই। পদ্মার বড় ইলিশের চাহিদাও রয়েছে বেশ ভালো।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, অনেক আগে নদীতে বড় আকৃতির ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে বড় সাইজের ইলিশ মাছ সচরাচর কম পাওয়া যায়। তবে মাঝেমধ্যেই দৌলতদিয়ায় বড় আকৃতির ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে- এটা খুশির খবর।
মন্তব্য করুন