জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, যদি আমরা গণহত্যাকারী বা ফ্যাসিস্টদের প্রতি সহনশীল হই, তবে অসহিষ্ণু ও অপশক্তিগুলো এ সুযোগ ব্যবহার করে সমাজকে গণতন্ত্র ও সহনশীলতা থেকে বঞ্চিত করে ফেলবে। গণহত্যাকারীদের রাজনৈতিক অধিকার দিলে সমাজে হত্যাকে উৎসাহিত করা হবে।
শুক্রবার (০৯ মে) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেএসডির ঢাকা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী। বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, নুরুল আখতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, অ্যাডভোকেট সৈয়দা ফাতেমা হেনা, মতিয়ার রহমান মতি, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, আবদুল মান্নান মুন্সি, কামরুল আহসান অপু, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান, এহসান ভুইয়া, সফিউল আলম, তাপস ঠাকুর, রহিম উল্লাহ, ফারহান হাবীবসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
তিনি বলেন, হিটলার এবং শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় উঠে এসে সে ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র মানে ভিন্নমত দমন নয় বরং যারা মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও মানবতার বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ঘৃণা ছড়িয়ে সমাজকে দমন করতে চায়- তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবি কোনো প্রতিশোধ নয়, এটি ইতিহাসের সঙ্গে সত্যের, সমাজের সঙ্গে ন্যায়ের এবং ভবিষ্যতের সঙ্গে নৈতিক দায়িত্বের সম্পর্ক। তবে বিচারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে অতীব প্রয়োজন- মৌলিক সংস্কার। ইতিহাসের শিক্ষা হলো- যেখানে সংস্কার নেই, সেখানে অপরাধ বারবার ফিরে আসে। ফলে বিচারও স্থায়ী হয় না।
দলটির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, গণহত্যার বিচার ও ক্ষমতা-কাঠামোর মৌলিক সংস্কার শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি নৈতিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক প্রয়োজন। এর মাধ্যমেই একটি জাতি তার অতীতের জবাবদিহি এবং ভবিষ্যতের পথে ন্যায়ভিত্তিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করে।
মন্তব্য করুন