খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, হাজারও ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য পলাতক শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন, এবার ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছে, তারা রক্ত দেওয়া শুরু করেছে, রাজপথ ছাড়ে নাই।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টেও ছাত্ররা রাজপথে ছিল, এখনো আছে। এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেওয়ার মত সামর্থ তাদের রয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমাদের আজকের অবস্থান ঐক্য ও সম্প্রীতির অবস্থান। আজকের এ সমাবেশ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সমাবেশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর মোড়ে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমদ আলী কাসেমি বলেন, ভারতের উচিত বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আপনাদের মায়াকান্না বন্ধ করুন। মিডিয়ায় অপপ্রচার বন্ধ করুন। বাবরী মসজিদের মতো বাংলাদেশে কোনো মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়নি। ভারতে একজন সংখ্যালঘু যেরকম নিরাপত্তা পান বাংলাদেশে তার চেয়েও বেশি পান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এখানে আলেম-উলামা, ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দেয়।
এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিগত ১৫ বছরের সকল গুম, খুন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিচারের আহ্বান জানান তিনি।
মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন ও মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, যুব মজলিসের সভাপতি অ্যাডভোকেট তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলী, শ্রমিক মজলিস সহ-সভাপতি আমীর আলী হাওলাদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন