বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ফের দেশ পরিচালনার দায়িত্বে চান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। বলেন, ‘খালেদা জিয়া যেন অচিরেই পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসে দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিতে পারেন- সেই প্রত্যাশা করছি।’
বুধবার (১৬ আগস্ট) বাদ আসর রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলপূর্ব আলোচনায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে এমন প্রত্যাশার কথা জানান মঈন খান। খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল হয়।
ড. মঈন খান বলেন, এই সরকার ভেবেছিল বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করলেই দেশের মানুষ স্তব্ধ হয়ে যাবে। সেটা কোনোদিন সম্ভব হবে না, হতে দিব না।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। স্বৈরাচারবিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি দীর্ঘ ৯ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের মানুষ ভালোবেসে তাকে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়। তিনি এ পর্যন্ত যতটি আসনে নির্বাচন করেছেন প্রত্যেকটি আসন থেকেই বিজয়ী হয়েছেন। জন্মদিনে শুধু শুভেচ্ছাই নয়, আমরা বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের প্রণীত কর্মসূচি এবং খালেদা জিয়ার দিকনির্দেশনায় আমরা এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার এবং হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনব ইনশাআল্লাহ।
দোয়া মাহফিলে মঈন খান ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ভিপি, মনিরুল হক চৌধুরী, মেহেদী আহমেদ রুমী, এসএম আব্দুল হালীম, মো. আবদুল কাইয়ূম, ইসমাঈল জবিউল্যাহ, সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রশীদ সরকার, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, নজমুল হক নান্নু, তাহমিনা রুশদীর লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, আফরোজা খান রিতা, আব্দুস সালাম, আব্দুল হাই শিকদার, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, বিলকিস জাহান শিরীন, শামা ওবায়েদ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, রিয়াজ উদ্দিন নসু, হারুনুর রশীদ, রাশেদা বেগম হীরা, রকিবুল ইসলাম বকুল, ফরহাদ হোসেন আজাদ, শিরিন সুলতানা, শরীফুল আলম, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমীরুল ইসলাম খান আলীম, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, নাজিম উদ্দিন আলম, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব, অঙ্গ সংগঠনের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, ড্যাবের ডা. আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন