বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার তথা আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী আজ দুর্নীতিতে জড়িত। দুর্নীতি-লুটপাট করে তারা বিদেশে টাকার পাহাড় জমাচ্ছে।
বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
রিজভী বলেন, সরকার আজ আইন-আদালতকে দিয়ে বেআইনি কাজ করাচ্ছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মজনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি ফৌজদারি অপরাধ। সরকার ভালোয় ভালোয় আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে আমরা লাল দালান অভিমুখী যাত্রা শুরু করব।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশ-বিদেশে আজ প্রত্যাখ্যাত ও ঘৃণিত। এরা গণতন্ত্র বুঝে না, স্বাধীনতার অর্থ বুঝে না। এরা শুধু বুঝে লুটপাট আর দুর্নীতি। এদের কাছে দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয়। তাই দেশ ও জনগণকে রক্ষার্থে বিএনপি আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, দেশে আইনের শাসন থাকলে বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনুকে জেলে থাকতে হতো না। হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হলে মজনুকে গ্রেপ্তার করা হতো না। আজ দেশে আইনের শাসন নেই, চলছে একদলীয় শাসন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রয়োজনে বিএনপিকে বাদ দিয়েই নির্বাচন হবে। আপনারা (সরকার) ভালোভাবেই জানেন বিএনপি নির্বাচনে এলে আপনাদের প্রার্থীর জামানত থাকবে না। এত বড় গলায় কথা বলেন, সাহস থাকলে বিএনপির মতো পুলিশ-র্যাব ছাড়া মাঠে নামেন, নির্বাচনে আসেন। দেখেন, জনগণ আপনাদের কী করে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদারসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ শেষে মজনুর মুক্তির দাবিতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। এরপর সেটি কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল মোড় হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন