নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দেওয়া বক্তব্যে অসাবধানতাবশত শব্দচয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। অনিচ্ছাকৃত শব্দচয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, নারীবিষয়ক কমিশনের শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্টের ওপর আমি গতকাল (৩০ এপ্রিল) একটি দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করি। বক্তব্যের একপর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দচয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত।
তিনি লেখেন, ‘রেইপ’ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ। আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ’ এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি আরও লেখেন, স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোন অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছনীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।
জামায়াতে আমির লেখেন, আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দচয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত।
মন্তব্য করুন