কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

সোমবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জানা গেছে, বৈঠকের এজেন্ডায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আলোচনা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির সম্পর্কে করণীয় নির্ধারণ প্রসঙ্গে পর্যালোচনার বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে রাখা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন, প্রশাসনের কেন্দ্রস্থল সচিবালয়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতির বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা ও পর্যলোচনা করা হবে বলেও জানা গেছে।

এ ছাড়াও ভারতের সীমান্ত দিয়ে অব্যাহত পুশইন এবং চট্টগ্রামে ‘কেএনএফ’-এর ২০ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধারসংক্রান্ত বিষয়গুলো বৈঠকে অবগত করা হবে। পাশাপাশি বৈঠকে নিয়ম অনুযায়ী দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। ‍

এদিকে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার (২৬ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এ আন্তর্জাতিক সপ্তাহ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন। আমাদের হিসেবে উল্লিখিত গুমের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে। এদের মধ্যে অধিকাংশ এখনও নিখোঁজ, অনেকেরই মৃতদেহ পাওয়া গেছে আবার অনেকদিন পর কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটি বিগত আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমুনা। উল্লিখিত সংখ্যা গুম হয়ে যাওয়া পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট এর ভিত্তিতে, আর অনেক আতঙ্কিত পরিবারই রিপোর্ট করার সাহস পায়নি।

তারেক রহমান বিবৃতিতে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের ১০/১৫ বছরেও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের গুমের ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। এছাড়াও গুমের শিকার হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষও। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী- কোনো ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহে আমি এই গুম হওয়া মানুষদের অসহায় পরিবারের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আর কোনো ব্যক্তি যাতে গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। আর যেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের মতো অমানবিক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুম-নির্যাতনের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের সুখরঞ্জন বালির

বিশ্ববাজারে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে

৪ সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত, বজ্রবৃষ্টি পূর্বাভাস

রেখার সঙ্গে পরকীয়া, প্রেম ভাঙে অক্ষয়-রাভিনার

বিশ্বের সবচেয়ে ‘দয়ালু বিচারক’ ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

রাশিয়ার তেল কেনায় ভারত শাস্তি পেল, চীন পেল না কেন?

সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সারওয়ার আলম

টিউমারের ভারে থমকে আছে শিশু মুকাব্বিরের দুরন্তপনা

১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নিখোঁজ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা উদ্ধার

১০

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত মাহবুবুল আনামের

১১

চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

১২

এবার কোথায় বসবেন তারা

১৩

খাবার প্লেটের আকারের সঙ্গে স্বাস্থ্যের কী সম্পর্ক রয়েছে

১৪

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৫ বাংলাদেশি

১৫

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

১৬

বিপিএল খেলা তারকা ক্রিকেটার প্রথমবার নাম লেখালেন সিপিএলে

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

১৮

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

১৯

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

২০
X