বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের জন্য সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর প্রতিষ্ঠিত ‘সুরভি’র কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর দেড়টার দিকে ডা. জুবাইদা রহমান রাজধানীর ধানমন্ডিতে ‘সুরভি’র কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক মো. আবু তাহেরসহ শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন ডা. জুবাইদা রহমান।
এরপর ডা. জুবাইদা ‘সুরভি’র ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন। তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে জানেন। এ সময় ছাত্রী-ছাত্রীদের তিনি উৎসাহ দেন এবং তাদের লক্ষ্যপূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এরপর ৪৬ বছর ধরে দেশজুড়ে চলা ‘সুরভি’র কর্মকাণ্ডের আলোকচিত্র ও ছবির প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ডা. জুবাইদা। নিজের মা ও ‘সুরভি’র প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর আঁকা ছবিগুলোও পরিদর্শন করেন জুবাইদা রহমান।
একপর্যায়ে ‘সুরভি’র ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্রের প্রদর্শনী উপভোগ করেন ডা. জুবাইদা। ‘সুরভি’র নির্বাহী পরিচালকসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তা ও অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে সেখানে উপস্থিত থাকা ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোর, শিক্ষক ও কর্মচারীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জুবাইদা রহমান। তিনি বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ‘সুরভি’।
১৯৭৯ সালে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু সমাজের অবহেলিত এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুরভির যাত্রা শুরু করেন। ৪৬ বছরে সংগঠনটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সেবা, সামাজিক সচেতনতাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।
‘সুরভি’ শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে প্রায় ৪০ লাখ শিশু-কিশোরকে। তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় ‘সুরভি’র প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য সরকার সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করে।
মন্তব্য করুন