কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ০৮:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বিএনপির বক্তব্যে মনে হয়, তারা নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরোনো ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরোনো ছবি

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক, আওয়ামী লীগ সরকার এটাই চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক, কিন্তু তারা পালিয়ে যাওয়ার ছুতা তৈরি করতে চায়।’

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির বক্তব্যে মনে হয়, তারা নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়, সেটি পেলে অংশ নেবে, নচেৎ নয়। কিন্তু এ গ্যারান্টি তো জনগণ বা সরকার বা নির্বাচন কমিশন কেউই দিতে পারবে না। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ যে ব্যাপকভাবে অংশ নেয়, সেটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। কোন দল অংশ নিল, তার চেয়েও বড় কথা নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘তবে বিএনপি একটি বড় দল, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। আমি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানাব, কারণ আমরা ওয়াকওভার চাই না, খেলে জিততে চাই।’

সরকার বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে, মামলা-গ্রেপ্তার করছে—বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর নির্বাচন হয় সেটিই আমরা চাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি সবসময় নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ছুতা তৈরি করতেই এসব বক্তব্য দিচ্ছেন।

মন্ত্রী জানান, অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা-অর্থদাতা হিসেবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মামলা সরকার চালু করতে পারে না। অভিযুক্তদের বাড়িয়ে নেওয়া সময়, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ—এগুলোর মেয়াদ শেষ বা ভ্যাকেট হলে আদালতের নিয়মানুযায়ী আবার মামলা চালু হয়ে যায়। তেমন কিছুসংখ্যক মামলাই চালু হয়েছে।’

ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রায়ই তারা এমন কথা বলেন। রমজানের ঈদের আগেও বলেছিলেন ঈদের পরে আন্দোলন। এখন তাদের কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন কি এ বছর না আগামী বছর, সেটিই প্রশ্ন।

গণমাধ্যম নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের ওপর যদি কেউ নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে থাকে, সেটি হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির সময় হুমায়ুন কবীর বালু থেকে শুরু করে সমগ্র বাংলাদেশে অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা মুক্তমনা ছিল, তাদের অনেকের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।

অপরদিকে সাংবাদিকদের কল্যাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা, করোনাকালে সাংবাদিকদের কোটি কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া। এগুলো আমাদের সরকারই করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোহিতের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার কারণ জানালেন আগারকার

নিজের ব্যর্থতা নিয়ে যা বললেন হৃতিক রোশন

ব্রাজিলিয়ানের চমকে হারল লিভারপুল, এমএলএসে বড় জয় মায়ামির

যে ৫ কারণে সিঁড়ি দিয়ে উঠলে বুক ধড়ফড় করে

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

আফগানমন্ত্রীর ভারত সফর ঘিরে কৌতূহল

বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধান সমস্যা সন্ত্রাস ও দুর্নীতি : রহমাতুল্লাহ

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস

প্রকৃতির অলংকার অনিন্দ্যসুন্দর সাতডোরা 

১০

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১১

পুলিশের ওপর হামলা করে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন স্বজনরা

১২

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল : ট্রাম্প

১৩

রূপায়ণ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, পাবেন একাধিক সুবিধা

১৪

প্রেমিকার উপস্থিতিতে প্রেমিকের কাণ্ড

১৫

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৬

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১৭

ঢাকায় কখন হতে পারে বজ্রবৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৮

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৯

৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X