বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মানুষের মুক্তির জন্য ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা : প্রধানমন্ত্রী

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বিটিভির ফেসবুক থেকে নেওয়া
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বিটিভির ফেসবুক থেকে নেওয়া

মানুষের মুক্তির জন্যই এই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের যে কোনো দুর্যোগে-দুর্বিপাকে ভূমিকা পালন করে ছাত্রলীগ। তারা কখনোই পিছপা হয়নি। ১-১১ এর সময়ও আপস করেনি। জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, তা-ও তারা এগিয়ে এসেছিল।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রদলের মাধ্যমে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না। এদিকে ছাত্রলীগ মানুষে বিপদে পাশে দাঁড়ায়। আমি বলেছি, কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে, সবাই চলে গেছে মাঠে। গিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কথা চিন্তা করি, যারা হত্যা করেছে তারা জাতিকে কী দিয়েছে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে চেয়েছে, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছে। পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করেছিল খুনি মোশতাক-জিয়া ক্ষমতায় আসার পর। আজকে যে কেউ হত্যার শিকার হলে বিচার চায়, আমার প্রশ্ন সেই ১৫ আগস্ট হত্যার পর আমাদের কি বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তখনও ছাত্রলীগই এগিয়ে এসেছিল। এই তারুণ্যের শক্তিই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে। আমিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সদস্য ছিলাম। ক্যাবিনেটের সবাই কিন্তু ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা। যে কোনো দুর্যোগে-দুর্বিপাকে ভূমিকা পালন করে। ১-১১ এর সময়ও আপস করেনি।’

তিনি বলেন, খুনিদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একই সঙ্গে আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও হত্যা করা হয়। যিনি সব সময় আমার বাবার পাশে ছিলেন। পাশে থেকে আমার বাবাকে সব সময় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা দেশের মুক্তি জন্য সংগ্রাম করছেন সেটা আমার মা খুব ভালো করেই জানতেন। তাই প্রতিটি কাজেই তিনি সহযোগিতা করে গেছেন। আর সেই ’৭৫ সালে মৃত্যুকালেও তিনি তার সাথী হলেন। জীবন ভিক্ষা চাননি, খুনিদের প্রতিহত করেছেন তাকেও ঘাতকরা ছাড় দেননি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় নিয়ে আসে এই বাঙালি জাতি। আমাদের ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে অনেকের প্রাণ গেছে। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির জন্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সারা জীবনের সংগ্রাম ছিল বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জন ছিল তার লক্ষ্য।

এর আগে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে সমাবেশ যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ছাত্র সমাবেশ শুরু হয়।

এদিন সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই অবস্থান করেন নেতাকর্মীরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে দেখা যায়। দুপুর ১টার পর থেকে রাজধানীর বাইরে থেকে আসা সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের ভিড় বাড়ে সমাবেশের প্রবেশমুখে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি গেট, বাংলা একাডেমির সামনের অংশ ও রমনার আইইবির সামনের গেটে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। এতে সমাবেশস্থলের প্রবেশমুখেই দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগের সমাবেশ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতি শিল্পীদের কাছে আরেকটু দায়িত্বশীলতা আশা করে : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এই শোকের সময়ে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

প্রধান উপদেষ্টার পাশে থাকার আশ্বাস চার দলের

সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে সফল রাষ্ট্র বানানো সম্ভব নয় : হাসনাত কাইয়ূম

মামদানির নীতিকে ‘ননসেন্স’ বললেন নেতানিয়াহু

‘হানির লগে যুদ্ধ করি ত্রিশ বছর কাডাই দিছ’

ট্রাম্পের চাওয়ায় কোকা-কোলায় এলো পরিবর্তন

নকল সিগারেট তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ৪

ওষুধের দাম বেশি নিলে ছাড় নয়, ভোক্তা অধিদপ্তরের হুঁশিয়ারি

সেই শিক্ষক মাহরিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি

১০

২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা

১১

জবিতে জনপ্রশাসন সংস্কার ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গতিপথ শীর্ষক সেমিনার

১২

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি / ‘ছেলেকে সবসময় আইনস্টাইন বলে ডাকতাম’

১৩

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনেই বিদ্যমান সংকটের সমাধান সম্ভব : লায়ন ফারুক

১৪

শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া বাতিল বিমান চলবে না : রাশেদ প্রধান

১৫

সিলেট পরিবহন শ্রমিকদের দুগ্রুপের সংঘর্ষ

১৬

‘ওরাও তো আমার সন্তান, একা রেখে কী করে চলে আসি?’

১৭

বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বিশেষ প্রার্থনা  

১৮

স্বপ্ন পূরণের আগেই লাশ হয়ে ফিরছেন বগুড়ার আবু জাফর

১৯

দিল্লিতে এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনে আগুন

২০
X