দেশি-বিদেশি কিছু ষড়যন্ত্রকারী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-উত্তর দেশের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতাসহ অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) একাংশের সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন সোহেল।
তিনি রাষ্ট্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।
এনডিপির (একাংশ) এই সভাপতি বলেন, পাঁচ বছর ভারতে থাকার পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হয়েছিলেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে সৎ ও জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জিয়া যখন অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা দূর করে দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন এবং আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের মর্যাদা বেড়ে যাচ্ছিল, তখনই এ দেশের স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী দেশের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করে ক্ষমতায় আসতে বিদেশের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে দেশের জন্য যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন, তার সুফল আমরা সব সময় পেতে থাকব। প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময়ের কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ যেমন—সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া, দেশে কৃষি বিপ্লব, গণশিক্ষা বিপ্লব ও শিল্প উৎপাদনে বিপ্লব, খাল খনন, নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের ভেতর দিয়ে অর্থনৈতিক বন্ধ্যত্ব দূরীকরণ, কলকারখানায় তিন শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশকে খাদ্য রপ্তানির পর্যায়ে উন্নীতকরণ, যুব ও মহিলা মন্ত্রণালয় সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুব ও নারী সমাজকে সম্পৃক্তকরণ, ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন, তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণ, সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং শিল্প খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ।
আবদুল্লাহ আল হারুন সোহেল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে এবং বাংলাদেশ যখন প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বর্তমানেও বাংলাদেশের শান্তিকামী জনগণ যখনই বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ৩১ দফার ওপর আস্থা রেখে ভোটের মাধ্যমে তারেক রহমানকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে, তখনই ১৯৮১ সালের মতো দেশি কিছু অশুভ গোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-উত্তর দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতাসহ অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে চায়।
মন্তব্য করুন