সম্প্রতি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনলাইন পোর্টালে রাজশাহীর ১২৩ জনের নাম উল্লেখ করে তথাকথিত চাঁদাবাজের তালিকা প্রকাশিত হয়। একই সঙ্গে এই তালিকার ৬ জনের নামের পাশে জামায়াতকর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী এবং রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি মু. ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, “সম্প্রতি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনলাইন পোর্টালে ‘রাজশাহীর ১২৩ জন চাঁদাবাজ’ শীর্ষক তালিকায় ৬ জনের নামের পাশে জামায়াতকর্মী হিসেবে উল্লেখ করে যেসব আজগুবি ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কাল্পনিক এই ১২৩ জন চাঁদাবাজের তালিকাটি কতটুকু সঠিক ও নির্ভরযোগ্য সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এই তালিকাটি কারা তৈরি করেছে, সেটা উল্লেখ নেই। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এই তালিকার ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। মূলত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যেই কোনো কুচক্রী মহল এ অপপ্রচার চালিয়েছে।”
নেতারা আরও বলেন, ‘তথাকথিত এই চাঁদাবাজের তালিকায় যাদের নামের পাশে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে জামায়াতে ইসলামীর কোনো জনশক্তির নাম, বাবা ও ঠিকানার সঙ্গে কোনো মিল নেই। অপরদিকে তারা জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর কোনো পর্যায়ের জনশক্তিও নন। এ ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, কোনো প্রকার চাঁদাবাজের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী সর্বদা সোচ্চার ও কঠোর ভূমিকা পালন করে আসছে। জামায়াতে ইসলামীর কোনো জনশক্তি চাঁদাবাজি করে না এবং কাউকে তা করতেও দেবে না। এ দেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী রয়েছে। ফলে অপপ্রচার চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করা যাবে না। আমরা এই অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন