ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যারা মিছিল করেছেন কষ্ট করে, তাদের বলবো- আপনারা মিছিল করবেন না। যদি আপনারা এতো কষ্ট করে মিছিল করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ আপনাদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবে। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য মিছিল করতে হবে কেন? তাকে দেশে ফেরানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সাথে আলোচনা চালানো হচ্ছে। তিনি যে গণহত্যা চালিয়েছেন, তার বিচারের জন্য তাকে এ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। গত শুক্রবার দুপুরে তেজগাঁও ও ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল বের করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এর প্রেক্ষিতে ফেসবুকে এই পোস্ট দেন মোস্তফা জামান।
ফেসবুক পোস্টে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র এই সদস্য সচিব আরও লেখেন, সত্যিকার অর্থে শেখের বেটি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসতে চান? একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে তার যে কর্মকাণ্ড, তাতে তিনি যে দেশে ফিরতে চান, তা মনে হয় না। কিন্তু তিনি দেশের ভেতরে অরাজকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চান, এটা নিশ্চিত। শুধু আমি না, সাধারণ মানুষ তা বোঝে।
তিনি লেখেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। অনেক কষ্ট করে আন্দোলন করতে হতো। অনেকে তৎকালীন বিএনপির সাথে নিষিদ্ধ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রাম মিলাতে চাইবে। তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, বিএনপি কিন্তু নিষিদ্ধ সংগঠন ছিল না। আওয়ামী লীগ, তারা কিন্তু নিষিদ্ধ সংগঠন। আর বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তারা যে ধরনের আন্দোলন করুক, তা বেআইনি। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বদ্ধপরিকর। যারা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে চায়, তাদের বলব- আমিসহ আমাদের দল ও দলের নেতাকর্মী সজাগ রয়েছি।
মোস্তফা জামান আরও লেখেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। তিনি দেশে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, কষ্ট করে গেছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন। শেখ হাসিনা মৃত্যুর ভয়ে এ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা এই প্রথম দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি, তিনি এ নিয়ে তিন তিনবার পালিয়েছেন। এটাই তার জীবনের শেষ পালানো।
মন্তব্য করুন