কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০০ পিএম
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এডিসি হারুনকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ, চুপ শীর্ষ দুই নেতা

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ছবি : সংগৃহীত
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ছবি : সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রলীগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতিত নেতাদের ছবি শেয়ার করে নানা স্ট্যাটাস দিচ্ছেন তারা। ক্ষোভ ঝাড়ছেন পুলিশের অভিযুক্ত এডিসি হারুন অর রশিদের ওপর, দাবি করছেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

অনেকে আবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তুলে ধরছেন, এডিসি হারুনের নানা ‘অপকর্মের’ ফিরিস্তি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপদপ্তর সম্পাদক মনির হোসাইন ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এডিসি হারুন একজন সন্ত্রাসী, বারবার পার পেয়ে যাওয়ায় সাহস বেড়ে গেছে। ঢাকা কলেজের অনেকগুলো ছাত্রের জীবন নষ্ট করেছে সে।’

এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রহিম সরকার। এসব স্ট্যাটাসে তিনি এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

থানায় তুলে নিয়ে দাঁত ভেঙে দেওয়ায় এখনো নেতারা প্রতিবাদ না করায় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক তাওহিদ বনি লিখেছেন, ‘এতিমদের সংগঠন ছাত্রলীগ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী তিলোত্তমা শিকদার লিখেছেন, ‘ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার। আহত নাঈমের ছবি শেয়ার করে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ লিখেছেন, কেন এমন হলো, কী জন্য এমন হলো জানতে চাই। এটা কি মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা!’

ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য রুশী চৌধুরী লিখেছেন, ‘আজ এটা কী হলো! আহারে ছাত্রলীগ!’

কেন্দ্রীয় নেতা সোলায়মান ইসলাম লিখেছেন, ‘পুলিশের পরকীয়ার জেরে রক্তাক্ত ছাত্রলীগ।’

ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ তপু, পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তবে এই ঘটনায় চুপ আছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এখনও।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন এডিসি হারুন।

তিনি কালবেলাকে জানান, এর কিছুই জানেন না তিনি।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে এর আগেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন। এবার তিনি নারীঘটিত বিষয়ে ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র বলছে, এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে এডিসি হারুনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। শনিবার সেই নারীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামায়াত কী হিন্দুদের স্বর্গের টিকিটও দেবে : সেলিম জাহাঙ্গীর

ঢাকা-১৮ আসনে কফিল উদ্দিনের উদ্যোগে উঠান বৈঠক

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ / রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ তুলে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের পাঁয়তারা 

নৌকা উল্টে  কর্ণফুলীতে ভেসে গেল সাড়ে ১২ টন মাছ

গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল-হামাস পরোক্ষ আলোচনা শুরু

নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারবিরোধী : নীরব

বজ্রপাত নিয়ে বিশেষজ্ঞের সতর্কতা

প্রথমবার প্রকাশ্যে আসছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নেতা

নতুন ২ জাতীয় দিবসের ছুটি নিয়ে যা জানা গেল

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

১০

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না : পাপিয়া

১১

ভারতের ভিসা নিয়ে সুখবর দিলেন বিক্রম মিশ্রি

১২

স্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিলেন আবু ত্বহা আদনান

১৩

শেখ রেহানার পরিবারের বিরুদ্ধে ৩ জনের সাক্ষ্য

১৪

আকাশে ফানুসের জ্যোৎস্না, হৃদয়ে প্রবারণা পূর্ণিমার আলো

১৫

ঢাকা অভিমুখে লং মার্চের হুঁশিয়ারি হেফাজতের

১৬

আলী পেপার মিলসের মালিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১৭

ভাড়াটে লোক দিয়ে নিজ দোকানেই ডাকাতি

১৮

ডলার থেকে চায়ের কাপ—চাকসু নির্বচানের প্রচারণায় সৃজনশীলতার প্রতিযোগিতা

১৯

সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৭১ জনকে দেশে পাঠাল ইসরায়েল

২০
X