বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো দল চাইলে নিজের অবস্থান থেকে দাবি জানাতে পারে, তবে তা পুরো জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। আমরা যেন কেউ কারও ওপর জবরদস্তি না করি। যে পরিবর্তন আমরা চাই, তা একদিনে সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে, ধাপের পর ধাপ এগোতে হবে। আসুন, আমরা কোনো নতুন সংকট তৈরি না করে ঐক্য ধরে রাখি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’ আয়োজিত তৃতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, গতকাল দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হয়েছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, কোথাও বলা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে, আর বিএনপি হবে বিরোধী দল! তাহলে কি জনগণের রায় ছাড়াই এসব ঠিক করে ফেলা হচ্ছে? আপনারা যদি এতটাই আত্মবিশ্বাসী হন যে সরকার গঠন করবেনই, তাহলে নির্বাচনে আসেন না কেন? আজ একটা অজুহাত, কাল আরেকটা— এইভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য সবাই বুঝে গেছে।
তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, আমরা সংকট নয়, ঐক্য তৈরি করি। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করি এবং এটিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করি। গণতান্ত্রিক চর্চার ধারাবাহিকতা থাকলে তবেই আমরা সফল হতে পারব।
আলোচনার টেবিলে মতৈক্য না হলে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে যেন কেউ কারও ওপর চাপিয়ে না দেয় কিছু। পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ বিষয়। একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে ধাপে ধাপে বের হয়ে এসে আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছি, ইনশাআল্লাহ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা একটি শক্তিশালী, বৈষম্যহীন, সাম্য ও ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব। এটি শহীদদের স্বপ্ন ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পথ।
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সালাহউদ্দিন বলেন, ছাত্রদের সরকারের দায়িত্বে থাকা উচিত হয়নি। তারা চাইলে জাতির প্রেশার গ্রুপ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু সরকারে যাওয়ার পর প্রতিনিয়ত তাদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে আমি মনে করি।
মন্তব্য করুন